ভারতে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে শেষবার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গত বছর তিনি টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও লাল বলের ক্রিকেট ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে দেশে ফিরে আর সেই সিরিজ খেলা হয়নি। তবুও পূর্ণাঙ্গ সিরিজ না খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে রাজি নন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
বর্তমানে আইএল টি–টোয়েন্টি খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা সাকিব অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এমআই এমিরেটস জিতেছে। রোববার মঈন আলীর সঙ্গে ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে তিনি জানান, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ফরম্যাট থেকেই অবসর নেননি। তার ভাষায়, “আমি প্রথমবার বলছি—বাংলাদেশে ফিরে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি–টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেই আমি অবসর নিতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সিরিজ খেলে সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেব—হোক সেটা টি–টোয়েন্টি দিয়ে শুরু, অথবা টেস্ট দিয়ে। ক্রম নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই। আমি শুধু একটি পূর্ণাঙ্গ হোম সিরিজ খেলে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চাই।”
২০২৪ সালের মে মাসের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়, যদিও তিনি তখন দেশে ছিলেন না। এরপরও পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন; কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টই ছিল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
বাংলাদেশে ফিরবেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি আশাবাদী, “একই কারণে আমি লিগ খেলছি। আমি মনে করি দেশে ফিরতে পারব।” ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদানও দিতে চান তিনি, “ভক্তরা যেভাবে আমাকে সমর্থন করেছে, একটি হোম সিরিজই তাদের প্রতি বিদায়ের সুন্দর উপায়।”
২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়েও তার আগ্রহ এখনো অটুট, “ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষের দিকে, কিন্তু রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সামনে। আমি বাংলাদেশ ও মাগুরার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আল্লাহ আমাকে যে পথে নেবেন, সেটাই দেখা যাক।”

























