ঝিনাইদহে তুচ্ছ কারণকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে কয়েকজন আত্মীয়কে দাওয়াত না দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৮–১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আগামীকাল ওই গ্রামে একটি বিয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কনে পক্ষ অভিযোগ তোলে যে বরপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে দাওয়াত করেনি। পূর্ববর্তী সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এই বিষয়টি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
শনিবার বিকেলে দাওয়াত নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। দ্রুত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পরিবারের লোকজন। এতে আহত ১০ জনের মধ্যে তিনজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের সময় বিয়ের ঘর ভাঙচুর, মঞ্চ ও সাজসজ্জা নষ্ট হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং উভয় পক্ষকে আলাদা করে। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, পুনরায় উত্তেজনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামবাসীরা বলেন, আনন্দঘন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতা অত্যন্ত দু:খজনক। তাঁদের মতে, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই ছোটখাটো বিষয়ও এখন বড় ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।
























