ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঝালকাঠি থেকে গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০২:০৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার প্রধান আসামি গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কথিত গৃহকর্মী আয়েশা নির্মমভাবে দুইজনকে হত্যা করে পালিয়ে যান। ওই রাতেই নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী ও স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম তাকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সকাল ৭টায় স্কুলে যাওয়ার পর তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। বাসায় ফিরলে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তিনি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যান।

সুরতহাল প্রতিবেদনে লায়লার দেহে প্রায় ৩০টি এবং নাফিসার দেহে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয় এবং জোহরের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


 

জনপ্রিয় সংবাদ

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঝালকাঠি থেকে গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেপ্তার

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঝালকাঠি থেকে গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:০৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার প্রধান আসামি গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কথিত গৃহকর্মী আয়েশা নির্মমভাবে দুইজনকে হত্যা করে পালিয়ে যান। ওই রাতেই নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী ও স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম তাকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সকাল ৭টায় স্কুলে যাওয়ার পর তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। বাসায় ফিরলে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তিনি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যান।

সুরতহাল প্রতিবেদনে লায়লার দেহে প্রায় ৩০টি এবং নাফিসার দেহে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয় এবং জোহরের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।