ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার নতুন তথ্য দিল ডিএমপি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০২:৫৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। চুরির উদ্দেশ্যেই ওই বাসায় গৃহকর্মীর চাকরি নিয়েছিল অভিযুক্ত আয়েশা। চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে সে নির্মমভাবে হত্যা করে দুজনকে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, আয়েশা প্রথমে গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি দেখে ফেলায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকেও হত্যা করে। হত্যার পর বাসা থেকে মালামাল চুরি করে স্কুল ড্রেস পরে পালিয়ে যায় আয়েশা।

গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাটে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা (১৫)কে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার নলছিটি এলাকায় তার দাদা–শ্বশুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আয়েশাকে।

গ্রেপ্তারের পর আয়েশা পুলিশকে জানায়, চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে লায়লা আফরোজ তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করেন এবং পুলিশে ফোন দিতে গেলে সে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে। মায়ের চিৎকার শুনে নাফিসা ড্রয়িংরুমে এসে পরিস্থিতি দেখে ফেললে তাকেও একইভাবে হত্যা করে।

আয়েশার স্বামী রাব্বিও জানিয়েছে, মূলত চুরিই ছিল আয়েশার উদ্দেশ্য। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে সে মা–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন এবং নাফিসার শরীরে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বছর আ.লীগের সঙ্গে আমাকে তাল মিলিয়ে চলতে হয়েছে: বিএনপি প্রার্থী

মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার নতুন তথ্য দিল ডিএমপি

আপডেট সময় ০২:৫৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। চুরির উদ্দেশ্যেই ওই বাসায় গৃহকর্মীর চাকরি নিয়েছিল অভিযুক্ত আয়েশা। চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে সে নির্মমভাবে হত্যা করে দুজনকে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, আয়েশা প্রথমে গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি দেখে ফেলায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকেও হত্যা করে। হত্যার পর বাসা থেকে মালামাল চুরি করে স্কুল ড্রেস পরে পালিয়ে যায় আয়েশা।

গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাটে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা (১৫)কে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার নলছিটি এলাকায় তার দাদা–শ্বশুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আয়েশাকে।

গ্রেপ্তারের পর আয়েশা পুলিশকে জানায়, চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে লায়লা আফরোজ তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করেন এবং পুলিশে ফোন দিতে গেলে সে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে। মায়ের চিৎকার শুনে নাফিসা ড্রয়িংরুমে এসে পরিস্থিতি দেখে ফেললে তাকেও একইভাবে হত্যা করে।

আয়েশার স্বামী রাব্বিও জানিয়েছে, মূলত চুরিই ছিল আয়েশার উদ্দেশ্য। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে সে মা–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন এবং নাফিসার শরীরে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।