ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“এপ্রিল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করলে কালো মেঘ নেমে আসবে”—রাশেদ খাঁনের হুঁশিয়ারি

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি সরকার এপ্রিল বা চৈত্র মাসে আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তবে দেশের আকাশে কালো মেঘ নেমে আসবে। এতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে কেবলমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে যত দূরত্ব বাড়বে, তার সমস্ত সুবিধা পাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।”

রাশেদ খাঁন লিখেছেন, “এপ্রিল মাস অর্থাৎ বাংলা চৈত্র মাস হলো প্রচণ্ড দাবদাহের সময়। মাঠ-ঘাট থাকে চৌচির, রোদে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এমন আবহাওয়ায় নির্বাচন করলে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে সামিয়ানা, ফ্যান, এমনকি ছাদওয়ালা গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি উপদেষ্টারা নিশ্চয়ই এসব জানেন। তবু কেন এমন অসময়ে নির্বাচন করতে চান? তারা কি ভোটারশূন্য নির্বাচন দেখাতে চান?” তিনি এও উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন কমিশনের এক সুপারিশ অনুযায়ী কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেখানে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। চৈত্রের মতো তাপদগ্ধ আবহাওয়ায় এমন পরিস্থিতি বাস্তবায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর বা তার আগেই নির্বাচন চায়, এমনকি জামায়াতসহ কিছু দল রমজানের আগে ভোট চেয়েছে। তাই সরকারের উচিত ছিল এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।

জনপ্রিয় সংবাদ

“এপ্রিল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করলে কালো মেঘ নেমে আসবে”—রাশেদ খাঁনের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১২:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি সরকার এপ্রিল বা চৈত্র মাসে আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তবে দেশের আকাশে কালো মেঘ নেমে আসবে। এতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে কেবলমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে যত দূরত্ব বাড়বে, তার সমস্ত সুবিধা পাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।”

রাশেদ খাঁন লিখেছেন, “এপ্রিল মাস অর্থাৎ বাংলা চৈত্র মাস হলো প্রচণ্ড দাবদাহের সময়। মাঠ-ঘাট থাকে চৌচির, রোদে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এমন আবহাওয়ায় নির্বাচন করলে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে সামিয়ানা, ফ্যান, এমনকি ছাদওয়ালা গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি উপদেষ্টারা নিশ্চয়ই এসব জানেন। তবু কেন এমন অসময়ে নির্বাচন করতে চান? তারা কি ভোটারশূন্য নির্বাচন দেখাতে চান?” তিনি এও উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন কমিশনের এক সুপারিশ অনুযায়ী কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেখানে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। চৈত্রের মতো তাপদগ্ধ আবহাওয়ায় এমন পরিস্থিতি বাস্তবায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর বা তার আগেই নির্বাচন চায়, এমনকি জামায়াতসহ কিছু দল রমজানের আগে ভোট চেয়েছে। তাই সরকারের উচিত ছিল এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।