জাতীয় সংলাপ, নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভবিষ্যৎ ঘিরে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান প্রকাশ্যে এনসিপি (ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি)-কে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নিজস্ব দল বলে মন্তব্য করেছেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে জাহেদ বলেন,“এতদিন আমি এই কথাটা লুকিয়ে-চুপিয়ে বলতাম। এখন আর কোনো রাখঢাক রাখছি না—এনসিপি আসলে ড. ইউনূসের দল।
জাহেদ উর রহমান বলেন, “ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা বলেন বটে, কিন্তু সেটা কেবল দলের প্রধান নাহিদ ইসলামকে জানিয়ে দেন। অন্য কাউকে ডাকেন না, জানানও না। এতে বোঝা যায়, তিনি দলের প্রতি কতটা ব্যক্তিগতভাবে সম্পৃক্ত ও পক্ষপাতী।”
তিনি আরও দাবি করেন, ড. ইউনূস ব্রিটেনে ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও এই পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত দিয়েছেন। “আমরা এখন এসব লুকাবো না, লুকানোর দরকারও নাই।”
জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে জাহেদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘ছাত্র’ বলতে শুধু চার-পাঁচটি নির্দিষ্ট মুখকে বোঝেন। অথচ আন্দোলনে অংশ নেয় ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এমনকি অরাজনৈতিক ছাত্ররাও।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছুটি দিয়ে দিলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই আন্দোলন টিকিয়ে রেখেছিল।”
তার মতে, এই সঙ্কীর্ণ ছাত্রধারণাই রাজনৈতিক সংকট তৈরি করছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমান বলেন,“ড. ইউনূস মুখে যতই বলুন ডিসেম্বর বা ৩০ জুনে নির্বাচন হবে, আসলে নির্বাচন পেছানোর একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা চলছে। এনসিপি এই প্রচেষ্টার অংশ এবং সরকারও হয়তো এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত।”
তিনি বলেন, “আমরা যৌক্তিকভাবে বিশ্বাস করি, নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের আগে নয়, বরং আরও পেছাতে পারে, এবং এটি একটি সমন্বিত রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ।”