আগামী বছরের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার শর্ত দিয়েছে, তা বাস্তবে অসম্ভব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গরমের সময় নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার জন্য অনেক আসনে ভোট পড়বে না, ফলে পুনরায় নির্বাচন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের মেয়াদ স্বাভাবিকভাবেই বাড়িয়ে নেবে, যা এক ধরনের ‘এক-এগারো’ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাশেদ খান বলেন, “নির্বাচন সংস্কার কমিশনের শর্ত অনুযায়ী ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ওই আসনে পুনঃনির্বাচন হতে হবে। এপ্রিলের গরমে এত ভোট পড়বে না বলে মনে হয়, তাই অন্তর্বর্তী সরকার তাদের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এই কৌশল নিয়ে কাজ করছে। এটা শুধুমাত্র এক-এগারোর প্রচেষ্টা নয়, বরং সরকারের এক ধরনের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
তিনি আরও বলেন, “এই পরিস্থিতিতে লন্ডনে বিএনপির মহাসচিব তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন রোডম্যাপ পরিবর্তনের দাবী করব। কিছু উপদেষ্টা আছে যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, যারা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”
এছাড়া রাশেদ খান অন্তর্বর্তী সরকারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রতিমাসে কর্মকর্তারা তাদের সম্পদের হিসাব দেবেন। কিন্তু গত ১০ মাসে কেউ একবারও এমন হিসাব দেয়নি। কয়েকজন উপদেষ্টার এনআইডি লক করা হয়েছে, বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু তা শুধুই নাটক।”
রাশেদ খান আরও অভিযোগ করেন, “সরকারের একজন নারী উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকার এখনো তদন্ত শুরু করেনি। এটা স্বচ্ছতা না করে কেবল ভিন্ন ভিন্ন নাটক।”
বক্তৃতা শেষে গণ অধিকার পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন রায়হানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।