সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইংল্যান্ড সফর নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস কেন যে ইংল্যান্ডে গেছেন, আমি ভেবে পাই না। কী দরকার ছিল?”
রনি বলেন, “ব্রিটেনের রাজা চার্লস তার একটি এনজিওর পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে পুরস্কার দিচ্ছেন। ইউরোপে তো প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই এনজিও থাকে, স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান থাকে। এটি সে রকমই একটি পারিবারিক প্রকল্পের মতো। সেই পুরস্কার নেওয়ার জন্য তিনি বিশাল বহর নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের টাকায় লন্ডনের সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেলে উঠেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই সফরকে বলা হচ্ছে রাজকীয় বা রাষ্ট্রীয় সফর, অথচ হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য একজনও উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তার প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন, যিনি ব্যাগ টেনেছেন। এমনকি কোনো ক্যামেরাম্যানও ছিল না। শফিক নামে একজন নিজস্ব মোবাইল ক্যামেরায় কিছু ছবি তুলেছেন যেখানে দেখা গেছে—বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার সময় ড. ইউনূস ক্লান্ত, বিভ্রান্ত এবং অপমানিত দেখাচ্ছিলেন।”
বিক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা
রনি দাবি করেন, “এই সফরকালে লন্ডনে বসবাসরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করছে। এই ধরনের প্রতিবাদ এর আগে খুব কমই দেখা গেছে। ফলে ড. ইউনূস এখন যে হোটেলে আছেন, সেখান থেকে বের হতেও পারছেন না। তার সফর কার্যত ‘গৃহবন্দি’ অবস্থা।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনিশ্চিত
তিনি আরও বলেন, “শোনা যাচ্ছিল, তার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। কিন্তু আজ ১১ জুন পর্যন্ত সেই বৈঠকের কোনো শিডিউল পাওয়া যায়নি। তার প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন—বৈঠক এখনো অনিশ্চিত। তাহলে প্রশ্ন উঠে—এই সফর আসলে কিসের? রাষ্ট্রীয় না ব্যক্তিগত?”