ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রশিবির আজকের প্রেক্ষাপটে একটি নেয়ামত, কিন্তু অপপ্রচারে তা গোপন রাখা হয়েছে”—জাহিদুল ইসলাম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “ছাত্রশিবির আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নেয়ামত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এতদিন এই নেয়ামতকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। কোথাও বসতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। যখন পাঁচ-ছয়জন মিলে আলোচনায় বসতাম, তখন তা গোপন বৈঠক বা জঙ্গি বৈঠক বলে প্রচার করে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার তাকিয়া বাজারে অবস্থিত ওসমানিয়া মাদরাসা অডিটোরিয়ামে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতীতে ছাত্রশিবির নিয়ে নানা মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। “আমাদের এ পথচলায় নানা অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডার শিকার হতে হয়েছে। কখনো জঙ্গি, কখনো রগ কাটা, আবার কখনো রাজাকার বলা হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সমাজে একজন ছাত্রশিবির কর্মীর জীবনযাপন, চরিত্র ও নৈতিকতা পর্যবেক্ষণ করলে নতুন কিছু চোখে পড়বে।”

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়গুলোতে ঈদের মতো আনন্দঘন সময়গুলোও ছাত্রশিবির কর্মীরা পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উদযাপন করতে পারেননি। “একজন ভাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হওয়ায় নিজের বাবার জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। কারণ তখন দেশের ক্ষমতায় স্বৈরাচারী শক্তি ছিল যারা নির্মম জুলুম চালিয়েছে।”

পটপরিবর্তনের পেছনের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আজকের অবস্থানে আসতে আমাদের অসংখ্য ভাই জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুধুমাত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২৩৪ জন ভাই শহীদ হয়েছেন। প্রায় এক হাজার ভাই গুম হয়েছেন, অনেকের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, অঙ্গহানি হয়েছে। বহু ভাই দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি ছিলেন।”

জাহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রতি জনগণের সদিচ্ছা ও ছাত্রশিবিরের আদর্শিক অবস্থানের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে একটি কল্যাণমূলক সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা

ছাত্রশিবির আজকের প্রেক্ষাপটে একটি নেয়ামত, কিন্তু অপপ্রচারে তা গোপন রাখা হয়েছে”—জাহিদুল ইসলাম

আপডেট সময় ০৯:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “ছাত্রশিবির আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নেয়ামত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এতদিন এই নেয়ামতকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। কোথাও বসতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। যখন পাঁচ-ছয়জন মিলে আলোচনায় বসতাম, তখন তা গোপন বৈঠক বা জঙ্গি বৈঠক বলে প্রচার করে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার তাকিয়া বাজারে অবস্থিত ওসমানিয়া মাদরাসা অডিটোরিয়ামে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতীতে ছাত্রশিবির নিয়ে নানা মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। “আমাদের এ পথচলায় নানা অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডার শিকার হতে হয়েছে। কখনো জঙ্গি, কখনো রগ কাটা, আবার কখনো রাজাকার বলা হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সমাজে একজন ছাত্রশিবির কর্মীর জীবনযাপন, চরিত্র ও নৈতিকতা পর্যবেক্ষণ করলে নতুন কিছু চোখে পড়বে।”

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়গুলোতে ঈদের মতো আনন্দঘন সময়গুলোও ছাত্রশিবির কর্মীরা পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উদযাপন করতে পারেননি। “একজন ভাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হওয়ায় নিজের বাবার জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। কারণ তখন দেশের ক্ষমতায় স্বৈরাচারী শক্তি ছিল যারা নির্মম জুলুম চালিয়েছে।”

পটপরিবর্তনের পেছনের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আজকের অবস্থানে আসতে আমাদের অসংখ্য ভাই জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুধুমাত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২৩৪ জন ভাই শহীদ হয়েছেন। প্রায় এক হাজার ভাই গুম হয়েছেন, অনেকের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, অঙ্গহানি হয়েছে। বহু ভাই দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি ছিলেন।”

জাহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রতি জনগণের সদিচ্ছা ও ছাত্রশিবিরের আদর্শিক অবস্থানের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে একটি কল্যাণমূলক সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।