এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস জাতিকে বন্দি করে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন দ্য ফিনান্সিয়াল পোস্টের প্রধান সম্পাদক এমএ আজিজ। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকে দূরত্ব আশা দেখছেন রাজনীতিবিদরা। এ প্রসঙ্গে এমএ আজিজ বলেন, দূরত্ব কমার আশা করাটাই স্বাভাবিক, কারণ ড. ইউনূস জাতিকে বন্দি করে ফেলছে এবং তিনি তার কথা ঠিক রাখেন না।
এইজন্য প্রত্যাশা যেমন আছে, তেমনি সন্দেহও আছে। কারণ তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু সংস্কারে একমত হয় ততটুক নিয়েই নির্বাচনে যাব। না হলেও নির্বাচনে যাব। ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব; কে কোথায় সম্মত আর কোথায় সম্মত না।
এখন তো অনেক সংস্কারের প্রস্তাব আসলো। দলগুলো তাদের সংস্কার প্রস্তাবের উত্তর দিল। এনসিপি প্রশ্নের উত্তর দিল। সবকিছু চূড়ান্ত।এখন এতদিন দেরি করার তো অর্থ হয় না। তিনি বলেন, এখন ড. মোহাম্মদ ইউনূস যে পর্যায়ে দেশটা নিয়ে এসেছেন, উনার উচিত এই হাল ছেড়ে দেওয়া। উনি দেশ চালাতে পারছেন না। এখন আল্টিমেটলি রাজনীতিবিদরা দেশ চালাবে। উনি কিছু এনজিও আর কিছু বিদেশীদের নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। এটা আমি পছন্দ করি না। এই সরকারের বিদায় হওয়া উচিত।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বলেছে আগামী বছর ৩.৩ জিডিপি গ্রোথ হবে। এই ৩.৩ যদি ঠিক হয়, তার মানে ২০২৬ সালে দুর্ভিক্ষ হবে। কারণ জিএসপি সুবিধা বাতিল হবে, আইএমএফ এর সকল শর্ত পূরণ করে লোন নিয়েছে এবং ইউয়ানভিত্তিক লোন নিয়েছে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার। এটা হয়ে গেছে ১২ বিলিয়ন ডলার।
তিনি দাবি করেন, আগের সরকার এবং এই সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। গত সরকারের আমলে যেসব টাকা পাচার হয়েছে সেই টাকা উদ্ধারের জন্য ড. ইউনূস লন্ডনে আলোচনা করতে গেছে। হাসিনার সময় তো লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কিন্তু ড. ইউনূস তো সব ছাত্র বসিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেকটা মিনিস্ট্রিতে। সবাই তো চুরি করছে। উনার উপদেষ্টাদের এপিএস থেকে শুরু করে সবাই তো টাকা পয়সা কামাচ্ছে। এই টাকা উদ্ধার করবে কে?
এমএ আজিজ দাবি করেন, ড. ইউনূস বিদেশীদের দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। ১৭ জন প্রবাসী উনাকে সাহায্য করছে। নয় জন উপদেষ্টা আছে সরাসরি বিদেশী নাগরিক। ড. ইউনূস নিজেও আমেরিকান নাগরিক। আমরা কি দেশ স্বাধীন করেছি বিদেশীদের দেশ চালানোর জন্য।
তিনি দাবি করেন, এখন দেশটা এমন জায়গায় আছে, এখন যদি ছেড়েও দেয়; নির্বাচন হওয়ার পরে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের জন্য কঠিন সমস্যা হবে। ২০২৬ সালে আপনি দেখবেন যে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, অর্থনৈতিক অবস্থা একদম বিপর্যস্ত, ব্যাংকের রিজার্ভ তো একই আছে, ২০ নড়চড় হচ্ছে না। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসন কোনো কিছুতেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।