জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগাম আয়োজনের প্রক্রিয়াকে শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “শুধু একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে নির্বাচন এগিয়ে আনা হলে তা ১৮ কোটি মানুষের সাথে তামাশা এবং শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে লন্ডনের হোটেল ডরচেস্টারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে গেছে,” এবং ইঙ্গিত দেন, আগামী রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ নিয়ে বিএনপিপন্থী অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
তবে এনসিপি নেতারা এই বৈঠকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। নাসীরুদ্দীন বলেন, “সংস্কার আর বিচারকে পাশ কাটিয়ে সরকার যে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, তা জনগণের নির্বাচন হতে পারে না। এতে নতুন করে আরেকটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পথ খুলবে। জনগণ আবার গণঅভ্যুত্থানে নামতে বাধ্য হবে।”
এদিকে, দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “শহীদ পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে শুধুমাত্র এক দলের সঙ্গে আলাপ করে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে — এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের আগে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।”