ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমাবেশের খরচ জোগাতে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করলেন এনসিপিকর্মী

এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশের খরচ জোগাতে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছেন সিরাজগঞ্জের ইসমাইল হোসেন নামের একজন কর্মী। বিষয়টি জানার পর দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারের হস্তক্ষেপে বিক্রীত গয়না ফেরত নিয়েছেন ওই কর্মী।

জানা যায়, এনসিপির বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুরের উদ্যোগে বেলকুচির আলহাজ সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অংশগ্রহণের খরচ বহনের জন্যই স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছিলেন তিনি। ইসমাইল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হাট ছোনগাছা গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মাহিন সরকার বলেন, ‘ইসমাইল নামের এক সমর্থক দলকে ভালোবেসে দলের পেছনে খরচের জন্য স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তাকে গয়না ফিরিয়ে নিতে বলেছি। ইতিমধ্যে তিনি গয়না ফিরিয়ে নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ইসমাইল আমাদের অন্যতম একজন কর্মী। তিনি দলকে ভালোবেসেই এই কাজ করেছেন।’ এর আগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে মাহিন সরকার বলেন, ‘এটা একজন এনসিপি সমর্থকের মেসেজ। দেখে যারপরনাই লজ্জিত হয়েছি। আপনারা জানেন, আজ বেলকুচি উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রগ্রাম আছে।

অনেকেই আসছেন, আমাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার সামর্থ্যটুকু নেই। কিন্তু যেটা আছে সেটা দলের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা। এটা আমাদের সূচনা, ইনশাআল্লাহ আমরা ইতিহাস গড়ব।’ ওই পোস্টে মাহিন সরকার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘লিডার, বউয়ের গয়না বিক্রি করলাম। প্রগ্রামের পোলাপানের খরচের জন্য।’

জবাবে মাহিন সরকার লেখেন, ‘কী বলেন? ওটা ফেরত নেন। আমি ম্যানেজ করব, এখনই ফেরত নেন।’ এনসিপির ওই সমর্থক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। তখন একটা চাকরি করতাম। এখন আর ওই চাকরিটা নেই। বর্তমানে বেকার। দলকে ভালোবেসে আমি ৪০-৫০ জন সমর্থক নিয়ে সমাবেশে অংশ নিচ্ছি। তাদের খরচের জন্য আমার কাছে টাকা নেই। তাই স্ত্রীর কাছে বিষয়টি বললে আমাকে তার গয়না দেয়। আমি পিপুলবাড়িয়া বাজারে গয়নাটা বিক্রি করি। বিষয়টি মাহিন ভাই জেনে গয়না ফিরিয়ে নিতে বলেছেন। আমি সেটা ফিরিয়ে নিয়েছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরাইলি হামলায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা, প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান

সমাবেশের খরচ জোগাতে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করলেন এনসিপিকর্মী

আপডেট সময় ০৬:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশের খরচ জোগাতে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছেন সিরাজগঞ্জের ইসমাইল হোসেন নামের একজন কর্মী। বিষয়টি জানার পর দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারের হস্তক্ষেপে বিক্রীত গয়না ফেরত নিয়েছেন ওই কর্মী।

জানা যায়, এনসিপির বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুরের উদ্যোগে বেলকুচির আলহাজ সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অংশগ্রহণের খরচ বহনের জন্যই স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছিলেন তিনি। ইসমাইল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হাট ছোনগাছা গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মাহিন সরকার বলেন, ‘ইসমাইল নামের এক সমর্থক দলকে ভালোবেসে দলের পেছনে খরচের জন্য স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তাকে গয়না ফিরিয়ে নিতে বলেছি। ইতিমধ্যে তিনি গয়না ফিরিয়ে নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ইসমাইল আমাদের অন্যতম একজন কর্মী। তিনি দলকে ভালোবেসেই এই কাজ করেছেন।’ এর আগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে মাহিন সরকার বলেন, ‘এটা একজন এনসিপি সমর্থকের মেসেজ। দেখে যারপরনাই লজ্জিত হয়েছি। আপনারা জানেন, আজ বেলকুচি উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রগ্রাম আছে।

অনেকেই আসছেন, আমাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার সামর্থ্যটুকু নেই। কিন্তু যেটা আছে সেটা দলের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা। এটা আমাদের সূচনা, ইনশাআল্লাহ আমরা ইতিহাস গড়ব।’ ওই পোস্টে মাহিন সরকার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘লিডার, বউয়ের গয়না বিক্রি করলাম। প্রগ্রামের পোলাপানের খরচের জন্য।’

জবাবে মাহিন সরকার লেখেন, ‘কী বলেন? ওটা ফেরত নেন। আমি ম্যানেজ করব, এখনই ফেরত নেন।’ এনসিপির ওই সমর্থক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। তখন একটা চাকরি করতাম। এখন আর ওই চাকরিটা নেই। বর্তমানে বেকার। দলকে ভালোবেসে আমি ৪০-৫০ জন সমর্থক নিয়ে সমাবেশে অংশ নিচ্ছি। তাদের খরচের জন্য আমার কাছে টাকা নেই। তাই স্ত্রীর কাছে বিষয়টি বললে আমাকে তার গয়না দেয়। আমি পিপুলবাড়িয়া বাজারে গয়নাটা বিক্রি করি। বিষয়টি মাহিন ভাই জেনে গয়না ফিরিয়ে নিতে বলেছেন। আমি সেটা ফিরিয়ে নিয়েছি।’