ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি অর্থায়নে কানাডার সহযোগিতা চাইল জামায়াত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে “স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক” করতে সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য কানাডার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে hour-long বৈঠকে সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ব্রিফিংয়ে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্সের কক্ষ ছাড়া বাকি সব স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে সরকার বাজেট সংকটের কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা কানাডাকে অনুরোধ করেছি— একা না পারলে কয়েকটি দাতা–দেশের কনসোর্টিয়াম গঠন করে ইউএনডিপির মাধ্যমে তহবিল সরবরাহ করতে।”

মো. তাহেরের ভাষ্য অনুযায়ী, হাইকমিশনার সিং নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত ও ভোট পর্যবেক্ষণে কানাডার আগ্রহের কথা জানান। তিনি ওই আর্থিক প্রস্তাব জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয়ের বিষয়টি ঢাকায় তার দপ্তর থেকে খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন।

বৈঠকে জামায়াত নেতৃত্ব চলমান সাংবিধানিক সংস্কার–আলোচনায় দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। তারা

  • অনুচ্ছেদ ৭০ সংশোধন,

  • দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ,

  • অনুপাতিক (PR) নির্বাচনী ব্যবস্থা
    সহ নারী আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। দলীয় মতে, “১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না” শর্ত যুক্ত করার কথাও আলোচনায় এসেছে।

জামায়াত নেতারা আরো জানান, টানা তিন বার “ভোটার–বিহীন নির্বাচন” হওয়ায় দেশে গভীর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। “এবার অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট না হলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে,” বলেন মো. তাহের।

কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসন্ন নির্বাচন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে দেশটি এবং সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা চালিয়ে যাবে।

বৈঠকে কানাডার সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের ও পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতদলের পক্ষে নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানসহ প্রায় ডজনখানেক কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের পরমাণু সক্ষমতা সমূলে ধ্বংস করা হবে — হোয়াইট হাউস

সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি অর্থায়নে কানাডার সহযোগিতা চাইল জামায়াত

আপডেট সময় ০৮:১৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে “স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক” করতে সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য কানাডার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে hour-long বৈঠকে সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ব্রিফিংয়ে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্সের কক্ষ ছাড়া বাকি সব স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে সরকার বাজেট সংকটের কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা কানাডাকে অনুরোধ করেছি— একা না পারলে কয়েকটি দাতা–দেশের কনসোর্টিয়াম গঠন করে ইউএনডিপির মাধ্যমে তহবিল সরবরাহ করতে।”

মো. তাহেরের ভাষ্য অনুযায়ী, হাইকমিশনার সিং নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত ও ভোট পর্যবেক্ষণে কানাডার আগ্রহের কথা জানান। তিনি ওই আর্থিক প্রস্তাব জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয়ের বিষয়টি ঢাকায় তার দপ্তর থেকে খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন।

বৈঠকে জামায়াত নেতৃত্ব চলমান সাংবিধানিক সংস্কার–আলোচনায় দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। তারা

  • অনুচ্ছেদ ৭০ সংশোধন,

  • দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ,

  • অনুপাতিক (PR) নির্বাচনী ব্যবস্থা
    সহ নারী আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। দলীয় মতে, “১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না” শর্ত যুক্ত করার কথাও আলোচনায় এসেছে।

জামায়াত নেতারা আরো জানান, টানা তিন বার “ভোটার–বিহীন নির্বাচন” হওয়ায় দেশে গভীর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। “এবার অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট না হলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে,” বলেন মো. তাহের।

কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসন্ন নির্বাচন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে দেশটি এবং সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা চালিয়ে যাবে।

বৈঠকে কানাডার সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের ও পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতদলের পক্ষে নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানসহ প্রায় ডজনখানেক কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন।