ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: দাবি পাকিস্তানের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:২৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

এবার নয়াদিল্লির সঙ্গে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ৮৫টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কামরা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর সামা টিভির।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “৬ ও ৭ মে রাতে ষষ্ঠ বিমানটি ভূপাতিত করার মাধ্যমে পাকিস্তান বিমান বাহিনী এক অনন্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এটি পিএএফ-এর অপারেশনাল সক্ষমতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর অটল সংকল্পের প্রতিফলন।”

পিএএফ-এর তথ্যমতে, বিধ্বস্ত ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফায়েল, একটি সুখোই এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি মিরাজ-২০০০। এছাড়া, মানববাহী বিমান ছাড়াও পাকিস্তান বাহিনী ৮৫টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ইসরায়েলি-নির্মিত হেরন ইউএভি এবং ৮৪টি কোয়াডকপ্টার ও নজরদারি ড্রোন।

এর আগে, পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিএএফ-এর সিনিয়র অফিসার এয়ার ভাইস মার্শাল (এভিএম) আওরঙ্গজেব আহমেদ বলেন, “সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পিএএফ শান্তি ও যুদ্ধাবস্থার প্রতিটি মুহূর্তে সর্বোচ্চ প্রস্তুত ছিল। আমরা বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি এবং পাকিস্তানে হামলাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি।” পিএএফ-এর প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, “ভারতীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে ট্র্যাক করা হয়। সেগুলোর ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যাহত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সর্বশেষ স্ফুরণ ঘটে ৭ মে, যখন ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৩১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং ডজনখানেক ড্রোন ধ্বংস করে। চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তানের তথ্যমতে, ভারতের কমপক্ষে ১১ সেনা ও ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতা তানভির রনিসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: দাবি পাকিস্তানের

আপডেট সময় ১২:২৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

এবার নয়াদিল্লির সঙ্গে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ৮৫টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কামরা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর সামা টিভির।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “৬ ও ৭ মে রাতে ষষ্ঠ বিমানটি ভূপাতিত করার মাধ্যমে পাকিস্তান বিমান বাহিনী এক অনন্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এটি পিএএফ-এর অপারেশনাল সক্ষমতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর অটল সংকল্পের প্রতিফলন।”

পিএএফ-এর তথ্যমতে, বিধ্বস্ত ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফায়েল, একটি সুখোই এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি মিরাজ-২০০০। এছাড়া, মানববাহী বিমান ছাড়াও পাকিস্তান বাহিনী ৮৫টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ইসরায়েলি-নির্মিত হেরন ইউএভি এবং ৮৪টি কোয়াডকপ্টার ও নজরদারি ড্রোন।

এর আগে, পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিএএফ-এর সিনিয়র অফিসার এয়ার ভাইস মার্শাল (এভিএম) আওরঙ্গজেব আহমেদ বলেন, “সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পিএএফ শান্তি ও যুদ্ধাবস্থার প্রতিটি মুহূর্তে সর্বোচ্চ প্রস্তুত ছিল। আমরা বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি এবং পাকিস্তানে হামলাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি।” পিএএফ-এর প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, “ভারতীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে ট্র্যাক করা হয়। সেগুলোর ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যাহত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সর্বশেষ স্ফুরণ ঘটে ৭ মে, যখন ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৩১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং ডজনখানেক ড্রোন ধ্বংস করে। চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তানের তথ্যমতে, ভারতের কমপক্ষে ১১ সেনা ও ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।