ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নির্বাচনের আগে কেয়ারটেকার আদলে সরকার চায় বিএনপি’

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

এবার সরকার থেকে যদি জনগণের আস্থা চলে যায় তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আর তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সামনে এগোনোর কোন সুযোগ নেই। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দাবি জানান, নির্বাচনের আগে কেয়ারটেকার আদলের সরকার গঠনের। যেখানে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের থাকার সুযোগ নেই।

সংস্কার না নির্বাচন, কোনটি আগে। বর্তমানে যা টক অফ দ্যা কান্ট্রি। এই নিয়ে সরকার আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট। পক্ষে বিপক্ষে চলছে পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক। বেশিরভাগ দল ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও, দিনক্ষণ স্পষ্ট করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।

বর্তমান পরিস্থিতি, নির্বাচন, আগামীতে বিএনপির কর্মকৌশল জানতে মুখোমুখি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বেড়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তার সাফ জবাব, সরকার জনআস্থা হারালে তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন চলে আসে তাই না, সেটা তো আমরা কোনো সময় চাইনি। আমরা চাই সরকার সকলের সমর্থনে বসেছে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ট্রানজিশন করবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে। এটা হচ্ছে মূল জব। সেখানে ঐ ধরনের পরিস্থিতি যদি তৈরি হয়, তাহলে সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক। এই সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠেই যায়, তাহলে তো আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটায় এগুনোর কোনো সুযোগ নেই, এটা বিফলে যাবে।

নির্বাচন সামনে রেখে কেয়ারটেকার আদলের সরকার গঠনের দাবি জানান আমীর খসরু। তার মতে, যেসব উপদেষ্টার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে নিরপেক্ষতা প্রমাণে তাদের সরকারে থাকার সুযোগ সেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, যারা ইতোমধ্যেই বিতর্কিত, তাদের আচরণ, কথাবার্তা ও কার্যক্রম জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এই ধরনের ব্যক্তিরা সরকারে থাকলে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই কেয়ারটেকার মোডে গেলে বিতর্কিতদের সরকারে রাখা যাবে না। চলমান সংকট সমাধানে নির্বাচনের বিকল্প নেই জানিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান, বিএনপির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক।

জনপ্রিয় সংবাদ

আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের একজন ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

‘নির্বাচনের আগে কেয়ারটেকার আদলে সরকার চায় বিএনপি’

আপডেট সময় ০৯:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

এবার সরকার থেকে যদি জনগণের আস্থা চলে যায় তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আর তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সামনে এগোনোর কোন সুযোগ নেই। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দাবি জানান, নির্বাচনের আগে কেয়ারটেকার আদলের সরকার গঠনের। যেখানে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের থাকার সুযোগ নেই।

সংস্কার না নির্বাচন, কোনটি আগে। বর্তমানে যা টক অফ দ্যা কান্ট্রি। এই নিয়ে সরকার আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট। পক্ষে বিপক্ষে চলছে পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক। বেশিরভাগ দল ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও, দিনক্ষণ স্পষ্ট করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।

বর্তমান পরিস্থিতি, নির্বাচন, আগামীতে বিএনপির কর্মকৌশল জানতে মুখোমুখি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বেড়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তার সাফ জবাব, সরকার জনআস্থা হারালে তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন চলে আসে তাই না, সেটা তো আমরা কোনো সময় চাইনি। আমরা চাই সরকার সকলের সমর্থনে বসেছে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ট্রানজিশন করবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে। এটা হচ্ছে মূল জব। সেখানে ঐ ধরনের পরিস্থিতি যদি তৈরি হয়, তাহলে সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক। এই সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠেই যায়, তাহলে তো আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটায় এগুনোর কোনো সুযোগ নেই, এটা বিফলে যাবে।

নির্বাচন সামনে রেখে কেয়ারটেকার আদলের সরকার গঠনের দাবি জানান আমীর খসরু। তার মতে, যেসব উপদেষ্টার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে নিরপেক্ষতা প্রমাণে তাদের সরকারে থাকার সুযোগ সেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, যারা ইতোমধ্যেই বিতর্কিত, তাদের আচরণ, কথাবার্তা ও কার্যক্রম জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এই ধরনের ব্যক্তিরা সরকারে থাকলে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই কেয়ারটেকার মোডে গেলে বিতর্কিতদের সরকারে রাখা যাবে না। চলমান সংকট সমাধানে নির্বাচনের বিকল্প নেই জানিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান, বিএনপির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক।