গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “কেবল যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশে এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই বাহিনী দিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব।”
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মহানগরী ও আশেপাশের এলাকার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “যে সময়, যে পরিস্থিতি, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু এতটুকুই বলেছি, কোনো অবস্থাতেই যেন দুষ্কৃতকারী ছাড়া না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।”
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি—এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের সুপারিশ অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯ শিশুর আটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ ধরনের কোনো খবর আমার কাছে নেই।” পরে তিনি জানতে চান, কোন পত্রিকায় এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ছাত্রলীগের ডাকা হরতাল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছিল। সত্যি কথা বলতে, দুইটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, কিছু নাশকতা হয়েছে। তবে আগের হরতালের তুলনায় তা অনেকটাই কম।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল মাসে হতে পারে—এই সম্ভাব্য সময়কে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই বাহিনী দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। আমাদের প্রস্তুতি চলছে, প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।”