জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা বাস্তবিক অর্থে কারও প্রভুত্ব মানব না; আমাদের প্রভু একমাত্র আল্লাহ। এমনকি কারও বড় ভাইগিরিও মানা হবে না। দেশে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় জামায়াত। সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো জানান, প্রতিবেশীরা অগ্রাধিকার পেলেও যদি কেউ অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের অধিকার হরণ করতে চায়, তাহলে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ একসঙ্গে রুখে দাঁড়াবে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপও তারা মেনে নেবে না; মর্যাদা দিয়ে যেমন সম্পর্ক করবে, তেমনি মর্যাদাও প্রত্যাশা করবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগের মতো নির্বাচন হলে সেটি জাতির জন্য দুঃখ ও ব্যথার কারণ হবে—এটি তারা দেখতে চান না এবং হতে দিতেও পারেন না। এজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সব বিচার এখনই সম্ভব নাও হতে পারে, তবে সরকার ও বিচার বিভাগের আন্তরিকতার দৃশ্যমান প্রমাণ চান তারা; অন্তত দুই-চারজন শীর্ষ অপরাধীর বিচার শুরু হোক, পরে যে-ই ক্ষমতায় আসুক, সেই বিচার চালিয়ে যাওয়াই হবে নৈতিক দায়িত্ব। নচেৎ যুবসমাজ কাউকেই ছাড় দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
যুবসমাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের যুবকরা যখন দাঁড়িয়ে থাকে, তখন এই দেশ হারায় না; জাতি মুক্তির পথ খুঁজে পায়। তিনি জানান, মুক্তির লড়াইয়ে প্রবীণরা লড়েছেন, তবে ‘ফিনিশিং’ হয়েছে যুবকদের হাতে—তাই তাদের প্রাপ্য সম্মান ও ভালোবাসা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ হয়েছে, এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ হবে এবং সেখানেও বাংলাদেশের মানুষের জয় হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আমির মখলিছুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দী, জামিল আহমদ রাজু, শামীম আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।