উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করা আপন ভাই-বোন, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজিয়া ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিকে দাফন করা হয়েছে তুরাগ থানাধীন কামারবাড়ির রাজাবাড়ি কবরস্থানে। সন্তান হারানো শোকে বিহ্বল পিতা আশরাফুল আলমের একমাত্র অনুরোধ—”আমার বাচ্চাদের কবরে অন্তত দুই বছরের মধ্যে যেন আর কাউকে দাফন না করা হয়।”
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কামারপাড়া এলাকায় তাদের বাসায় যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নিহত শিশুদের পরিবারকে সহমর্মিতা ও সান্ত্বনা জানাতেই এ সফর।
সন্তানদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আশরাফুল আলম। রিজভী বলেন, “আপনার এই অনুরোধ আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেব। সন্তান হারানোর বেদনার চেয়ে বড় শোক আর কিছু হতে পারে না। তারেক রহমান প্রথম থেকেই আপনাদের খোঁজখবর রাখছেন।”
সান্ত্বনাসূচক এই সফরে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. শরীফুল ইসলাম, জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদুল আলম হিটো, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেলের ডা. মুনতাসির, ডা. তাসিন ও ডা. মুসাদ্দিকসহ কয়েকজন চিকিৎসক ও সংগঠনের নেতা।