ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ভোলা সদর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সাইফুল্লাহ আরিফের (৩০) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোডের মসজিদে নববীর পশ্চিম পাশে নিজ বসতবাড়ির সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আরিফ ওই এলাকার বাসিন্দা মো. বশির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) শংকর তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বাবা বশির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, রাতে আরিফ তার নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি বাসার কেচিগেটের সামনে আমার ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। আরিফ আমার একমাত্র ছেলে। কে বা কারা ছেলেটাকে আমার কাছে থেকে কাইরা নিয়েছে। আমার ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে, আমি এর বিচার চাই।

নিহতের মা রাবেয়া বসরী বলেন, ‘আরিফ রাত ১টার দিকে বলেছে মা আমার শরীর ভালো না, পানি দেন। আমি তাকে পানি দেওয়ার পর পানি খেয়ে তার রুমেই শুয়ে ছিল। ভোরে তার বাবার চিৎকার শুনে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি বাসার সামনে আরিফের মরদেহ পড়ে আছে।’
ওসি শংকর তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
নিহতের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যেহেতু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী আন্দোলন: পিআর পদ্ধতির নির্বাচন না হলে রাজপথে নামতে হবে

ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ভোলা সদর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সাইফুল্লাহ আরিফের (৩০) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোডের মসজিদে নববীর পশ্চিম পাশে নিজ বসতবাড়ির সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আরিফ ওই এলাকার বাসিন্দা মো. বশির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) শংকর তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বাবা বশির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, রাতে আরিফ তার নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি বাসার কেচিগেটের সামনে আমার ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। আরিফ আমার একমাত্র ছেলে। কে বা কারা ছেলেটাকে আমার কাছে থেকে কাইরা নিয়েছে। আমার ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে, আমি এর বিচার চাই।

নিহতের মা রাবেয়া বসরী বলেন, ‘আরিফ রাত ১টার দিকে বলেছে মা আমার শরীর ভালো না, পানি দেন। আমি তাকে পানি দেওয়ার পর পানি খেয়ে তার রুমেই শুয়ে ছিল। ভোরে তার বাবার চিৎকার শুনে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি বাসার সামনে আরিফের মরদেহ পড়ে আছে।’
ওসি শংকর তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
নিহতের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যেহেতু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।