ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে শুক্রবার (বুয়েন্স এইরেসে) আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি লিওনেল মেসির জন্য ছিল আবেগঘন এক রাত। এস্তাদিও মনুমেন্তালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী আন্তোনেলা, তিন সন্তান, বাবা-মা—সবাই ছিলেন গ্যালারিতে। বিশেষ দিনে জোড়া গোল করে দলকে ৩-০ গোলে জিতিয়েছেন মেসি। আর ম্যাচ শেষে জানালেন, ঘরের মাঠে এটি তার শেষ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে মেসি বললেন, “এভাবে শেষ করতে পারা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল। নিজের মানুষদের মাঝে থেকে এটা পাওয়া আলাদা আবেগের। বার্সেলোনায় বহু ভালোবাসা পেয়েছি, কিন্তু দেশের মাটিতে, নিজের সমর্থকদের সামনে এমন মুহূর্ত উপভোগ করতে পারা—এটাই ছিল আমার চিরকালের ইচ্ছে।”
শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ খেলার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অনেক আবেগ কাজ করছে… জেনে যে এটা ছিল এখানে আমার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। এই মাঠে অনেক কিছু দেখেছি—ভালোও, খারাপও। তবু সবসময় আনন্দ নিয়ে খেলেছি দেশের দর্শকদের সামনে, বিশেষ করে এমন জয়ের পর।”
তবে ভক্তদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না? মেসির উত্তর, “দেখা যাক। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোবো। মৌসুম শেষ করব, তারপর প্রাক-মৌসুম আসবে। শরীর কেমন থাকে, সেটাই নির্ধারণ করবে। আশা করি ভালোভাবে মৌসুম শেষ করব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।”
আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বাধিক গোলদাতা এবং সর্বাধিক ম্যাচ খেলা মেসি প্রথম বিশ্বকাপে খেলেন ২০০৬ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে। দীর্ঘ এক যুগের ক্যারিয়ারে তিনি দলকে ২০১৪ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের সেরা অর্জন পূর্ণ করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

























