ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তাপে লুটনিকের সতর্কবার্তা: “দুই মাসে ভারত ক্ষমা চাইবে না হলে ৫০% শুল্ক”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এক কঠোর বার্তায় বলেছেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই ভারত আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করার দায়ে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য করেন, মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেলেছে। ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরই বাণিজ্যমন্ত্রী লুটনিক ভারতের সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, ভারত বাজার খুলতে চায় না, রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনা বন্ধ করছে না, আবার ব্রিকস জোট থেকেও বের হচ্ছে না। যদি ভারত চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতায় যেতে চায় তবে যাক, কিন্তু যদি তা করতে না পারে তবে ডলারকে সমর্থন করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় তাদের ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

লুটনিক বলেন, ভারতের এই অবস্থান আসলে আস্ফালন ছাড়া কিছু নয়। বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়াই করার মতো আচরণ করতে ভালো লাগলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়িক স্বার্থে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতেই চাইবে। তিনি দাবি করেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ভারত আলোচনায় বসবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থনের বার্তা দেবে।

এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে অতীতে তারা এমন মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে। দিল্লির অবস্থান হলো, জ্বালানি আমদানি ও বাণিজ্য চুক্তি জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, লুটনিকের বক্তব্য মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ সৃষ্টির কৌশল। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারতকে চীনা ও রুশ প্রভাব থেকে সরিয়ে তাদের বাণিজ্য ও কৌশলগত অঙ্গনে টেনে আনতে। অন্যদিকে ভারত এখনো কৌশলগত ভারসাম্য নীতি মেনে চলতে চাইছে। দুই মাস পর সত্যিই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে কিনা সেটিই এখন আন্তর্জাতিক কূটনীতির বড় প্রশ্ন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তাপে লুটনিকের সতর্কবার্তা: “দুই মাসে ভারত ক্ষমা চাইবে না হলে ৫০% শুল্ক”

আপডেট সময় ১২:৫১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এক কঠোর বার্তায় বলেছেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই ভারত আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করার দায়ে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য করেন, মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেলেছে। ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরই বাণিজ্যমন্ত্রী লুটনিক ভারতের সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, ভারত বাজার খুলতে চায় না, রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনা বন্ধ করছে না, আবার ব্রিকস জোট থেকেও বের হচ্ছে না। যদি ভারত চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতায় যেতে চায় তবে যাক, কিন্তু যদি তা করতে না পারে তবে ডলারকে সমর্থন করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় তাদের ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

লুটনিক বলেন, ভারতের এই অবস্থান আসলে আস্ফালন ছাড়া কিছু নয়। বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়াই করার মতো আচরণ করতে ভালো লাগলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়িক স্বার্থে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতেই চাইবে। তিনি দাবি করেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ভারত আলোচনায় বসবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থনের বার্তা দেবে।

এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে অতীতে তারা এমন মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে। দিল্লির অবস্থান হলো, জ্বালানি আমদানি ও বাণিজ্য চুক্তি জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, লুটনিকের বক্তব্য মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ সৃষ্টির কৌশল। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারতকে চীনা ও রুশ প্রভাব থেকে সরিয়ে তাদের বাণিজ্য ও কৌশলগত অঙ্গনে টেনে আনতে। অন্যদিকে ভারত এখনো কৌশলগত ভারসাম্য নীতি মেনে চলতে চাইছে। দুই মাস পর সত্যিই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে কিনা সেটিই এখন আন্তর্জাতিক কূটনীতির বড় প্রশ্ন।