ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সানায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ নিহত, আহত অন্তত ১১৮

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৫ বার পড়া হয়েছে

ইয়েমেনের রাজধানী সানার আল-জাওয়াফ এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে অন্তত ১০টি যুদ্ধবিমান থেকে ১৫টি বোমা ফেলা হয়। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়েছেন। নিহত-আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইয়েমেনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলা মূলত আবাসিক ভবন ও বেসামরিক স্থাপনায় চালানো হয়েছে। এর মধ্যে আল-তারিফ এলাকার সাধারণ মানুষের বসতঘর, সানার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬০ নম্বর সড়কের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আল-জাওয়াফের একটি সরকারি ভবনও টার্গেট করা হয়। আহতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার সত্যতা স্বীকার করে দাবি করেছেন, দুদিন আগে তাদের বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জবাব হিসেবেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মহল এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখছে।

ইয়েমেনের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, মিডিয়ার হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি পক্ষের দাবি, ওই কেন্দ্র থেকে হুতিরা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছিল।

এর আগের দিন কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে টার্গেট করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন। যদিও শীর্ষ নেতারা অক্ষত থাকেন। ওই ঘটনার পর আরব বিশ্ব থেকে তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে ইসরায়েল। তার পরদিনই ইয়েমেনে বড় ধরনের হামলা চালানো হলো।

সূত্র: আল জাজিরা

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট, পরে সরাল পাকিস্তান জামায়াত

সানায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ নিহত, আহত অন্তত ১১৮

আপডেট সময় ১২:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইয়েমেনের রাজধানী সানার আল-জাওয়াফ এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে অন্তত ১০টি যুদ্ধবিমান থেকে ১৫টি বোমা ফেলা হয়। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়েছেন। নিহত-আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইয়েমেনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলা মূলত আবাসিক ভবন ও বেসামরিক স্থাপনায় চালানো হয়েছে। এর মধ্যে আল-তারিফ এলাকার সাধারণ মানুষের বসতঘর, সানার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬০ নম্বর সড়কের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আল-জাওয়াফের একটি সরকারি ভবনও টার্গেট করা হয়। আহতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার সত্যতা স্বীকার করে দাবি করেছেন, দুদিন আগে তাদের বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জবাব হিসেবেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মহল এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখছে।

ইয়েমেনের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, মিডিয়ার হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি পক্ষের দাবি, ওই কেন্দ্র থেকে হুতিরা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছিল।

এর আগের দিন কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে টার্গেট করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন। যদিও শীর্ষ নেতারা অক্ষত থাকেন। ওই ঘটনার পর আরব বিশ্ব থেকে তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে ইসরায়েল। তার পরদিনই ইয়েমেনে বড় ধরনের হামলা চালানো হলো।

সূত্র: আল জাজিরা