ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে না; এই স্থান আমাদের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম তীরের মাআলে আদুমিমে একটি নতুন বসতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, “কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে না; এই স্থান আমাদের।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের ঐতিহ্য, জমি এবং নিরাপত্তা রক্ষা করব এবং শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করব।”

এই বসতি স্থাপন প্রকল্পটি ‘ই১’ নামে পরিচিত, যা জেরুজালেম ও মাআলে আদুমিমের মাঝখানে অবস্থিত। প্রায় ৩,৪০০টি নতুন আবাসিক ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা পশ্চিম তীরকে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত করবে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য একটি সংযুক্ত ভূখণ্ড গঠনের সম্ভাবনা সংকুচিত করবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই বসতি স্থাপনকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য “অস্তিত্বগত হুমকি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দ্বারা অধিকৃত পশ্চিম তীরের সব বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ একাধিক পশ্চিমা সরকার চলতি মাসের শেষে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ব্রিটেন বলেছে, যদি ইসরায়েল গাজার বিধ্বংসী যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত না হয়, তবে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নেবে।

সূত্র: এএফপি

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তুত তারেক রহমানের বাসভবন ও অফিস

“কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে না; এই স্থান আমাদের

আপডেট সময় ১১:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম তীরের মাআলে আদুমিমে একটি নতুন বসতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, “কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে না; এই স্থান আমাদের।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের ঐতিহ্য, জমি এবং নিরাপত্তা রক্ষা করব এবং শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করব।”

এই বসতি স্থাপন প্রকল্পটি ‘ই১’ নামে পরিচিত, যা জেরুজালেম ও মাআলে আদুমিমের মাঝখানে অবস্থিত। প্রায় ৩,৪০০টি নতুন আবাসিক ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা পশ্চিম তীরকে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত করবে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য একটি সংযুক্ত ভূখণ্ড গঠনের সম্ভাবনা সংকুচিত করবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই বসতি স্থাপনকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য “অস্তিত্বগত হুমকি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দ্বারা অধিকৃত পশ্চিম তীরের সব বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ একাধিক পশ্চিমা সরকার চলতি মাসের শেষে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ব্রিটেন বলেছে, যদি ইসরায়েল গাজার বিধ্বংসী যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত না হয়, তবে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নেবে।

সূত্র: এএফপি