ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও কামাল জড়িত নন, নির্দেশও দেননি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৯৪ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"border":1,"transform":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জড়িত নন এবং তাদের নির্দেশে এসব হয়নি বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োজিত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন।তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। তাই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে নির্দেশ দেওয়া কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। অর্থাৎ যেহেতু কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, সেহেতু হত্যাকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ দেওয়া বা উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর। এছাড়া গত ১৬ বছরে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন মাহমুদুর রহমান।দ্বিতীয় দিনের জেরায় সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্য অস্বীকার করে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলকে ১৫ বছরের ‌‘চরম দুর্নীতিপরায়ণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শাসন’ হিসেবে চিত্রিত করার কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা জুলাই আগস্টে বাংলাদেশে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা ও কামাল। এ কারণে তারা সবাই কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতাভুক্ত নয়। অর্থাৎ এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো অন্যায় সংঘটিত হয়নি। ফলে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর।
সোম ও মঙ্গলবার (১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর) পরপর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জবানবন্দি পেশ করেছেন মাহমুদুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি আওয়ামী দুঃশাসনের পটভূমি বর্ণনা দিয়ে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুন, পিলখানার হত্যাকাণ্ড ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মী হত্যাসহ অপহরণের পর গোপন সেলে নিয়ে অত্যাচারের বর্ণনা দেন।জেরা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আমির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাদের নির্দেশেও এসব হয়নি।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা শুরু করেন আইনজীবী মো. আমির হোসেন। জেরা শেষ করেন কোর্টের বিরতির সময় দুপুর দেড়টায়।বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য শুরু হয়। শেখ হাসিনার এ মামলায় ১৭তম দিনের মতো ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি নাবিকসহ তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও কামাল জড়িত নন, নির্দেশও দেননি

আপডেট সময় ০৯:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জড়িত নন এবং তাদের নির্দেশে এসব হয়নি বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োজিত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন।তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। তাই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে নির্দেশ দেওয়া কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। অর্থাৎ যেহেতু কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, সেহেতু হত্যাকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ দেওয়া বা উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর। এছাড়া গত ১৬ বছরে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন মাহমুদুর রহমান।দ্বিতীয় দিনের জেরায় সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্য অস্বীকার করে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলকে ১৫ বছরের ‌‘চরম দুর্নীতিপরায়ণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শাসন’ হিসেবে চিত্রিত করার কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা জুলাই আগস্টে বাংলাদেশে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা ও কামাল। এ কারণে তারা সবাই কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতাভুক্ত নয়। অর্থাৎ এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো অন্যায় সংঘটিত হয়নি। ফলে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর।
সোম ও মঙ্গলবার (১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর) পরপর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জবানবন্দি পেশ করেছেন মাহমুদুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি আওয়ামী দুঃশাসনের পটভূমি বর্ণনা দিয়ে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুন, পিলখানার হত্যাকাণ্ড ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মী হত্যাসহ অপহরণের পর গোপন সেলে নিয়ে অত্যাচারের বর্ণনা দেন।জেরা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আমির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাদের নির্দেশেও এসব হয়নি।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা শুরু করেন আইনজীবী মো. আমির হোসেন। জেরা শেষ করেন কোর্টের বিরতির সময় দুপুর দেড়টায়।বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য শুরু হয়। শেখ হাসিনার এ মামলায় ১৭তম দিনের মতো ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম।