জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হন। তিনি স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে সঙ্গে নিয়ে একটি চলন্ত সিঁড়িতে প্রবেশ করেন, যা অল্প সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বাকী ধাপগুলো তিনি পায়ে হেঁটে উঠতে বাধ্য হন। এছাড়া বক্তৃতা দিতে গিয়ে তার টেলিপ্রম্পটারও নষ্ট দেখা দেয়।
এই দুই ঘটনার পর ট্রাম্প জাতিসংঘের সামগ্রিক কার্যকারিতা ও সক্ষমতা নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সংস্থা তার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ব্যর্থ এবং শান্তি স্থাপন বা অন্যান্য প্রক্রিয়ায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ট্রাম্প বলেন, “জাতিসংঘের অবস্থা এখন বন্ধ হওয়া চলন্ত সিঁড়ি বা ভাঙা টেলিপ্রম্পটারের মতো।”
নিজের নির্ধারিত ১৫ মিনিটের বক্তব্য শেষ করার পরও ট্রাম্প সংস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং অভিবাসীদের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন। এছাড়া সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি বিভিন্ন দেশ ও শত্রু-মিত্র সবাইকে সমালোচনার মাধ্যমে কঠোর বার্তা দেন।