ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাপলা নিয়ে ইসির কঠোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এনসিপি নেতাদের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

শাপলা নিয়ে ইসির কঠোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এনসিপি নেতাদের

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতারা। ইসি সচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের প্রতীক তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটি বিকল্প প্রতীক বাছাই না করলে কমিশন স্বীয় উদ্যোগে প্রতীক নির্ধারণ করবে।

সচিবের এই বক্তব্যের পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এনসিপি নেতারা, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাপলা প্রতীকের পক্ষে সরব হয়েছেন এবং ইসি’র সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

 

 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে, তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটিকে তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে না জানালে ইসি স্বীয় পদ্ধতিতে দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে।

 

তিনি পুনরায় নিশ্চিত করেন যে এনসিপি শাপলা দাবি করলেও প্রতীক তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি এবং ইসি’র সিদ্ধান্ত একই আছে।

 

 

ইসি সচিবের ঘোষণার পরপরই এনসিপি নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এনসিপি-র যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা তার ফেসবুক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন।

 

 

তিনি লেখেন, বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেনও শাপলা দেয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না।

 

 

মুসা আরও অভিযোগ করেন যে ইসি’র সিদ্ধান্ত আইনগত বাধ্যবাধকতার বাইরে গিয়ে ‘মন-মর্জির উপর নির্ভরশীল’।

 

তিনি বলেন, আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোন প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী নাকি ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমাণ কোন রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারো মুখাপেক্ষী?

 

তিনি তার পোস্টের শেষে দৃঢ়তার সাথে লেখেন, জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।

 

দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে জহিরুল ইসলাম মুসার এই পোস্টটি নিজের পেইজে শেয়ার করেন। একই সময়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে লেখেন, এনসিপি শাপলাই পাবে।

 

 

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর কমিশন এনসিপিকে তাদের তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে মার্কা বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতীক বেছে না নিয়ে উল্টো বিধি সংশোধন করে পুনরায় শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়, যা সর্বশেষ ইসি সচিবের কঠোর বক্তব্যে নতুন মোড় নিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে গুলি করে হত্যা: ৫ দফা দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল শনিবার

শাপলা নিয়ে ইসির কঠোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এনসিপি নেতাদের

আপডেট সময় ০৯:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 

শাপলা নিয়ে ইসির কঠোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এনসিপি নেতাদের

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতারা। ইসি সচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের প্রতীক তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটি বিকল্প প্রতীক বাছাই না করলে কমিশন স্বীয় উদ্যোগে প্রতীক নির্ধারণ করবে।

সচিবের এই বক্তব্যের পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এনসিপি নেতারা, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাপলা প্রতীকের পক্ষে সরব হয়েছেন এবং ইসি’র সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

 

 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে, তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটিকে তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে না জানালে ইসি স্বীয় পদ্ধতিতে দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে।

 

তিনি পুনরায় নিশ্চিত করেন যে এনসিপি শাপলা দাবি করলেও প্রতীক তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি এবং ইসি’র সিদ্ধান্ত একই আছে।

 

 

ইসি সচিবের ঘোষণার পরপরই এনসিপি নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এনসিপি-র যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা তার ফেসবুক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন।

 

 

তিনি লেখেন, বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেনও শাপলা দেয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না।

 

 

মুসা আরও অভিযোগ করেন যে ইসি’র সিদ্ধান্ত আইনগত বাধ্যবাধকতার বাইরে গিয়ে ‘মন-মর্জির উপর নির্ভরশীল’।

 

তিনি বলেন, আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোন প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী নাকি ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমাণ কোন রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারো মুখাপেক্ষী?

 

তিনি তার পোস্টের শেষে দৃঢ়তার সাথে লেখেন, জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।

 

দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে জহিরুল ইসলাম মুসার এই পোস্টটি নিজের পেইজে শেয়ার করেন। একই সময়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে লেখেন, এনসিপি শাপলাই পাবে।

 

 

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর কমিশন এনসিপিকে তাদের তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে মার্কা বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতীক বেছে না নিয়ে উল্টো বিধি সংশোধন করে পুনরায় শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়, যা সর্বশেষ ইসি সচিবের কঠোর বক্তব্যে নতুন মোড় নিল।