ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাত্র ৯০ দিনে পূর্ণ কোরআনের হাফেজ ৯ বছরের মাহদী হাসান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২২ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

মাত্র তিন মাসে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ৯ বছর বয়সী মাহদী হাসান। অল্প সময়ে হাফেজ হয়ে এই ক্ষুদে প্রতিভা সকলকে বিস্মিত করেছে। তার এই সাফল্যে খুশি তার শিক্ষক, পরিবার ও সহপাঠীরা।

 

 

মাহদী হাসান ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রাজীব আহমেদ ও শাপলা খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে ইলমুল কুরআন আদর্শ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

 

কোরআনে হাফেজ মাহদী বলেন, “অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ, ওস্তাদরা আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। প্রথমে ভেবেছিলাম কঠিন হবে, কিন্তু আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন বড় একজন আলেম হতে পারি।”

 

মাহদীর বাবা রাজীব আহমেদ বলেন, “আমার মা-বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে আলেম বানানো, কিন্তু আমি তা পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছেলে মাহদী হাফেজ হয়ে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।”

 

 

মা শাপলা খাতুন বলেন, “আমার ছেলে মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ হয়েছে, এতে আমি অনেক খুশি। হুজুরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই দোয়া করবেন, সে যেন একজন ভালো আলেম হয়।”

 

দাদী মোছাম্মৎ রোকিয়া বেগম বলেন, “আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলেকে আলেম বানাতে, পারিনি। তাই নাতিকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ৯০ দিনে সে হাফেজ হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বড় আলেম বানান।”

 

ইলমুল কুরআন আদর্শ মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আবদুল হামিদ জানান, “মাহদী নূরানি নাজেরা শেষ করে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় এবং মাত্র তিন মাসে কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। তার মেধা ও নিষ্ঠা সত্যিই অনন্য। আমরা আশা করছি, মাহদী একদিন আন্তর্জাতিকভাবে দেশ ও জাতির গর্ব হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।”

জনপ্রিয় সংবাদ

মহানবী (সা.)-এর পছন্দের কিছু খাবার

মাত্র ৯০ দিনে পূর্ণ কোরআনের হাফেজ ৯ বছরের মাহদী হাসান

আপডেট সময় ০৯:৪১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

 

 

 

মাত্র তিন মাসে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ৯ বছর বয়সী মাহদী হাসান। অল্প সময়ে হাফেজ হয়ে এই ক্ষুদে প্রতিভা সকলকে বিস্মিত করেছে। তার এই সাফল্যে খুশি তার শিক্ষক, পরিবার ও সহপাঠীরা।

 

 

মাহদী হাসান ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রাজীব আহমেদ ও শাপলা খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে ইলমুল কুরআন আদর্শ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

 

কোরআনে হাফেজ মাহদী বলেন, “অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ, ওস্তাদরা আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। প্রথমে ভেবেছিলাম কঠিন হবে, কিন্তু আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন বড় একজন আলেম হতে পারি।”

 

মাহদীর বাবা রাজীব আহমেদ বলেন, “আমার মা-বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে আলেম বানানো, কিন্তু আমি তা পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছেলে মাহদী হাফেজ হয়ে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।”

 

 

মা শাপলা খাতুন বলেন, “আমার ছেলে মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ হয়েছে, এতে আমি অনেক খুশি। হুজুরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই দোয়া করবেন, সে যেন একজন ভালো আলেম হয়।”

 

দাদী মোছাম্মৎ রোকিয়া বেগম বলেন, “আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলেকে আলেম বানাতে, পারিনি। তাই নাতিকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ৯০ দিনে সে হাফেজ হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বড় আলেম বানান।”

 

ইলমুল কুরআন আদর্শ মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আবদুল হামিদ জানান, “মাহদী নূরানি নাজেরা শেষ করে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় এবং মাত্র তিন মাসে কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। তার মেধা ও নিষ্ঠা সত্যিই অনন্য। আমরা আশা করছি, মাহদী একদিন আন্তর্জাতিকভাবে দেশ ও জাতির গর্ব হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।”