পিরোজপুরের নেছারাবাদের সেই বিতর্কিত ইউপি সদস্য মো. সোহাগ মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি মারামারির মামলায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বলদিয়া ইউনিয়নের রাজবাড়ী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ মৃধা বলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সোহাগ মৃধা বলেছিলেন, ‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী থেকে আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
সোহাগ মৃধাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, একটি মারামারির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা একসময় বিএনপি পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। পরে আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশংসামূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর আওয়ামী লীগ পরিচয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি আবার বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নতুন করে আলোচনা আসেন।
সোহাগের চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘সোহাগ মৃধা খুবই খারাপ মানুষ। সম্পত্তির ওয়ারিশ বঞ্চিত করতে আমাকে ও তার ছোট ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। এমনকি মামলা থেকে রেহাই পেতে ৫০ হাজার টাকা দিলেও নিস্তার পাইনি।’
ওসি বলেন, সোহাগ মৃধার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মারামারির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।