ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে: ডা. শফিকুর রহমান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই, তাহলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে। মানুষ নিজের জায়গা বদলাতে পারে, কিন্তু প্রতিবেশী বদলাতে পারে না। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে সম্মান করতে চাই এবং একইভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও সম্মান প্রত্যাশা করি।

 

সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিন নিউইয়র্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

 

জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ভারত আয়তনে ২৬ গুণ বড় দেশ। তাদের সম্পদ, জনশক্তি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা তাদের অবস্থান বিবেচনায় সম্মান করি। তবে আমাদের ছোট ভূখন্ড ও প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অস্তিত্বকেও তাদের সম্মান করতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিমান্ড। যদি তা হয়, তাহলে দুই প্রতিবেশী শুধু ভালোই থাকব না, বরং এক প্রতিবেশীর কারণে অন্য প্রতিবেশীও বিশ্ব দরবারে সম্মানিত হবে।

 

ভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকার কীভাবে নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত প্রায় দেড় বছরে আমাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই আমরা এর জবাব দিয়েছি। একটা বিষয় একেবারে পরিষ্কার করতে চাই, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অভিবাসন ঘটেছে, মুসলমানদেরও। আমরা জোর করে কোনো কিছু বন্ধের পক্ষে নই, আবার জোর করে কাউকে দেশ থেকে তাড়ানোরও পক্ষে নই।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা মেজোরিটি ও মাইনরিটি ধারণায় বিশ্বাস করি না। আমরা বলি ‘উই নিড ইউনিটি’। মেজোরিটি-মাইনরিটি বলা মানেই বিভাজন তৈরি করা, যা একদল অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড় করায়। গত ৫৪ বছর ধরে আমরা এর ভয়াবহতা দেখেছি—আর দেখতে চাই না।

 

তিনি বলেন, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ভিত্তিতে যুগের পর যুগ আমরা মিলেমিশে বসবাসের যে ঐতিহ্য গড়ে তুলেছি, সেটিকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে কয়েকটি কালো দাগ পড়েছে, সেগুলো উপড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ, যাতে দল ও ধর্মের বিভাজনে জাতি আর বিভক্ত না হয়।

 

 

জামায়াত আমির আরও বলেন, আমরা অনুভব করি, কেউ যদি গত ৫৪ বছরে অন্য কারও সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে থাকে এবং তার প্রমাণ থাকে, তবে আমরা সেই সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার পক্ষে—এটিই আমাদের অবস্থান।

 

যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির কোনো শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আমিরে জামায়াত বলেন, এই প্রশ্নটির উত্তর বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি। সভায় নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জে যমুনা রেলসেতুর পিলারে ফাটলের ছবি ভুয়া: রেল কর্তৃপক্ষ

ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে: ডা. শফিকুর রহমান

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

 

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই, তাহলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে। মানুষ নিজের জায়গা বদলাতে পারে, কিন্তু প্রতিবেশী বদলাতে পারে না। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে সম্মান করতে চাই এবং একইভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও সম্মান প্রত্যাশা করি।

 

সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিন নিউইয়র্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

 

জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ভারত আয়তনে ২৬ গুণ বড় দেশ। তাদের সম্পদ, জনশক্তি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা তাদের অবস্থান বিবেচনায় সম্মান করি। তবে আমাদের ছোট ভূখন্ড ও প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অস্তিত্বকেও তাদের সম্মান করতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিমান্ড। যদি তা হয়, তাহলে দুই প্রতিবেশী শুধু ভালোই থাকব না, বরং এক প্রতিবেশীর কারণে অন্য প্রতিবেশীও বিশ্ব দরবারে সম্মানিত হবে।

 

ভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকার কীভাবে নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত প্রায় দেড় বছরে আমাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই আমরা এর জবাব দিয়েছি। একটা বিষয় একেবারে পরিষ্কার করতে চাই, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অভিবাসন ঘটেছে, মুসলমানদেরও। আমরা জোর করে কোনো কিছু বন্ধের পক্ষে নই, আবার জোর করে কাউকে দেশ থেকে তাড়ানোরও পক্ষে নই।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা মেজোরিটি ও মাইনরিটি ধারণায় বিশ্বাস করি না। আমরা বলি ‘উই নিড ইউনিটি’। মেজোরিটি-মাইনরিটি বলা মানেই বিভাজন তৈরি করা, যা একদল অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড় করায়। গত ৫৪ বছর ধরে আমরা এর ভয়াবহতা দেখেছি—আর দেখতে চাই না।

 

তিনি বলেন, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ভিত্তিতে যুগের পর যুগ আমরা মিলেমিশে বসবাসের যে ঐতিহ্য গড়ে তুলেছি, সেটিকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে কয়েকটি কালো দাগ পড়েছে, সেগুলো উপড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ, যাতে দল ও ধর্মের বিভাজনে জাতি আর বিভক্ত না হয়।

 

 

জামায়াত আমির আরও বলেন, আমরা অনুভব করি, কেউ যদি গত ৫৪ বছরে অন্য কারও সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে থাকে এবং তার প্রমাণ থাকে, তবে আমরা সেই সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার পক্ষে—এটিই আমাদের অবস্থান।

 

যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির কোনো শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আমিরে জামায়াত বলেন, এই প্রশ্নটির উত্তর বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি। সভায় নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।