আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, তারাও এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন, বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। এর আগে তিনি ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দিতে সকালে পটুয়াখালী আসেন।
তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রস্তুতি হিসেবে আমরা সারা দেশে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা—প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। দেশের একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অনেকের মধ্যে দ্বিধা ও আশঙ্কা রয়েছে, তবে আমরা আশাবাদী—এ পরিস্থিতি কাটিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে।”
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ পর্যায়ে। ভোটকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আসনবিন্যাস, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিন বাহিনীসহ (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), পুলিশ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংলাপও শেষ হয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।” প্রতীক বিষয়ে তিনি বলেন, “কিছু পুরোনো প্রতীক বাদ দিয়ে নতুন ও সুন্দর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় সব নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত।”
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে এখনো সরকার থেকে কোনো প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের কাছে আসেনি। সরকার কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেটি আমরা জানি না। তবে সিদ্ধান্ত হলে জনগণ অবশ্যই জানতে পারবে।”
আর পিআর পদ্ধতি (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) নিয়ে প্রশ্নে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয়। এ নিয়ে আপাতত কোনো আলোচনা করছি না।”
 
																			 
										 ডেস্ক রিপোর্টঃ
																ডেস্ক রিপোর্টঃ								 








