নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথিত বিএনপি নেতার হামলায় ২ সাংবাদিকসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। ওই সময়ে তারা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করেছে।
একপর্যায়ে সন্ত্রাসী বাহিনী তিনজনকে আটকে বেধড়ক মারধর করেছে। তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ হামলাকারী কথিত বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে। তিনি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।
গণমাধ্যমকর্মী মো. আকাশ জানান, গিরিধারা বউবাজার এলাকাতে এক নারীর অভিযোগ ছিল তাদের জমি দখল করে রেখেছিল বিএনপির নামধারী নেতা শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি। এ ঘটনায় ওই নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার জিডি করেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে বুধবার বিকাল ৪টায় ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে কথা বলার খবর পেয়ে শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করে। আমার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে একটি রুমে আটকে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে। পরে রুমে আটকে মোবাইল ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। তাদের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রি
য়াধীন রয়েছে।



















