বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’ যশোরে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছি। সুযোগ হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে যাওয়ার। এ সুযোগ কোনো মহলের চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কারণে বিনষ্ট হতে দিতে পারি না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দয়া করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবেন না। আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এ প্রক্রিয়া জনগণ মেনে নেবে না।’
উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছে: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাতদিন সময় দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে, এর আগে নয়: বিএনপি মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে, এর আগে নয়। টালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন, অন্যথায় সরকার ব্যর্থ হবে।’
প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তার বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তার মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন। তরিকুল ইসলামের মতো নেতা বারবার জন্মায় না। তাই তার জীবনী লেখা দরকার। যা থেকে পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’
আরও দেখুন
প্রতিবেদন
তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নী, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, নগর সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, তানিয়া রহমান সুমি, আবুল হাসান জহির, আসাদুজ্জামান মিন্টু, দীপঙ্কর দাস রতন, জেলা যুবদলের আহবায়ক এম তমাল আহমেদ প্রমুখ। স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ্ কাসেমী।



















