ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন বিতর্কে ট্রাম্প: প্রয়াত বক্তার স্ত্রীকে চুমু, সমালোচনার ঝড়

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

তর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই প্রশাসনের ভেতরে পদত্যাগ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং বিতর্কিত নীতিনির্ধারণে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি। এবার নতুন করে বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন এক অপ্রত্যাশিত আচরণের কারণে।

সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত রক্ষণশীল বক্তা চার্লি কার্কের বিধবা স্ত্রী এরিকা কার্ক। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ট্রাম্প তাকে সামনে ডেকে নিয়ে গালে চুমু দেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চার্লি কার্ক গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

অনুষ্ঠানে এরিকা কার্ক বলেন,

“চার্লি আপনাকে ভালোবাসতেন। আপনি এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন জেনে তিনিই প্রথম ফোন করতেন। প্রেসিডেন্টের প্রতি আপনাদের সমর্থন এবং একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”

তবে ট্রাম্পের আচরণ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে “নিরীহ সৌজন্য” হিসেবে দেখলেও, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—“প্রয়াত বক্তার স্ত্রীকে কেন এত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ধরা হলো?”

একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন,

“নিন্দার কিছু নেই, কিন্তু কেন ট্রাম্প সবসময় তাকে এত কাছাকাছি রাখছেন? এরিকার স্বামী তো কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তা ছিলেন না—তাহলে এর পেছনে উদ্দেশ্য কী?”

অন্যদিকে আরেকজন লেখেন,

“ট্রাম্প ও কার্ক পরিবার বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনেন। তাই এই আচরণকে অতিরঞ্জিত করা ঠিক নয়।”

এর আগে এরিকা কার্ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতার অভিযোগেও সমালোচিত হয়েছিলেন। চার্লি কার্কের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় ভ্যান্সের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলিঙ্গনের ভিডিও ভাইরাল হয়, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

সমালোচনার জবাবে এরিকা কার্ক বলেন,

“কেউ কখনো আমার স্বামীর স্থান নিতে পারবে না। তবে জেডি ভ্যান্সের মধ্যে আমি আমার স্বামীর কিছু বৈশিষ্ট্যের মিল দেখি।”

এর আগে থেকেই প্রশাসনিক অস্থিরতা, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক পদক্ষেপ ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে চাপে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নতুন এই ঘটনাটি তার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন বিতর্কে ট্রাম্প: প্রয়াত বক্তার স্ত্রীকে চুমু, সমালোচনার ঝড়

আপডেট সময় ১২:১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

তর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই প্রশাসনের ভেতরে পদত্যাগ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং বিতর্কিত নীতিনির্ধারণে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি। এবার নতুন করে বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন এক অপ্রত্যাশিত আচরণের কারণে।

সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত রক্ষণশীল বক্তা চার্লি কার্কের বিধবা স্ত্রী এরিকা কার্ক। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ট্রাম্প তাকে সামনে ডেকে নিয়ে গালে চুমু দেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চার্লি কার্ক গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

অনুষ্ঠানে এরিকা কার্ক বলেন,

“চার্লি আপনাকে ভালোবাসতেন। আপনি এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন জেনে তিনিই প্রথম ফোন করতেন। প্রেসিডেন্টের প্রতি আপনাদের সমর্থন এবং একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”

তবে ট্রাম্পের আচরণ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে “নিরীহ সৌজন্য” হিসেবে দেখলেও, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—“প্রয়াত বক্তার স্ত্রীকে কেন এত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ধরা হলো?”

একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন,

“নিন্দার কিছু নেই, কিন্তু কেন ট্রাম্প সবসময় তাকে এত কাছাকাছি রাখছেন? এরিকার স্বামী তো কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তা ছিলেন না—তাহলে এর পেছনে উদ্দেশ্য কী?”

অন্যদিকে আরেকজন লেখেন,

“ট্রাম্প ও কার্ক পরিবার বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনেন। তাই এই আচরণকে অতিরঞ্জিত করা ঠিক নয়।”

এর আগে এরিকা কার্ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতার অভিযোগেও সমালোচিত হয়েছিলেন। চার্লি কার্কের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় ভ্যান্সের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলিঙ্গনের ভিডিও ভাইরাল হয়, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

সমালোচনার জবাবে এরিকা কার্ক বলেন,

“কেউ কখনো আমার স্বামীর স্থান নিতে পারবে না। তবে জেডি ভ্যান্সের মধ্যে আমি আমার স্বামীর কিছু বৈশিষ্ট্যের মিল দেখি।”

এর আগে থেকেই প্রশাসনিক অস্থিরতা, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক পদক্ষেপ ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে চাপে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নতুন এই ঘটনাটি তার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে বিশ্লেষকদের মত।