ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল নেতা বাসিতের পরিচালনায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন 

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

ছাত্রদল নেতা বাসিতের পরিচালনায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংলগ্ন বাহাদুর শাহ (ভিক্টোরিয়া) পার্কে “সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষালয়” সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতের উদ্যোগে এ শিক্ষালয় উদ্বোধন করা হয়।

জানা যায়, বাহাদুর শাহ পার্কে যেসকল সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুরা থাকেন, তাদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ। প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার সকাল নয়টায় শিশুদের ক্লাস নেওয়া হবে। একারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে দুইজন স্থায়ী শিক্ষক রাখা হয়েছে। নতুন বই পেয়ে এই শিশুরা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী এবং মানুষের মতে মানুষ হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

নতুন বই পেয়ে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিশুরা। তারাও মানুষের মতো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সিহাব নামের এক শিশু বলেন, আমরা এখানে যারা থাকি, অনেকের বাবা-মা নেই। ছাত্রদলের এই উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা মানুষের মতো মানুষ হতে চাই। চাকরি করে সুন্দর জীবন গড়তে চাই।

আরেক শিশু সুমন জানায়, “বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখন থেকে নিয়মিত পড়ব। তারেক রহমানকে ধন্যবাদ, তিনি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশের জন্য আরও এমন কাজ করবেন।”

শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. লিখন ইসলাম বলেন, “কোনো সুবিধাবঞ্চিত শিশু যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে, সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। বাসিত ভাইয়ের প্রচেষ্টা শিশুদের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করবে, যা দেশের জন্যও ইতিবাচক।”

উদ্যোক্তা কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিত বলেন, “দেশনেতা তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আমরা শিক্ষালয়টি শুরু করেছি। যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পথশিশুদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্যই আমাদের উদ্যোগ। ভবিষ্যতে যদি এখান থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পাই, স্থায়ী অবকাঠামোর কথাও ভাবব।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদলের উদ্যোগে তরিকুল ইসলামের হাত ধরে ৬১ জন এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ হলো পবিত্র কোরআন

ছাত্রদল নেতা বাসিতের পরিচালনায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন 

আপডেট সময় ০৮:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ছাত্রদল নেতা বাসিতের পরিচালনায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংলগ্ন বাহাদুর শাহ (ভিক্টোরিয়া) পার্কে “সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষালয়” সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতের উদ্যোগে এ শিক্ষালয় উদ্বোধন করা হয়।

জানা যায়, বাহাদুর শাহ পার্কে যেসকল সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুরা থাকেন, তাদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ। প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার সকাল নয়টায় শিশুদের ক্লাস নেওয়া হবে। একারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে দুইজন স্থায়ী শিক্ষক রাখা হয়েছে। নতুন বই পেয়ে এই শিশুরা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী এবং মানুষের মতে মানুষ হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

নতুন বই পেয়ে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিশুরা। তারাও মানুষের মতো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সিহাব নামের এক শিশু বলেন, আমরা এখানে যারা থাকি, অনেকের বাবা-মা নেই। ছাত্রদলের এই উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা মানুষের মতো মানুষ হতে চাই। চাকরি করে সুন্দর জীবন গড়তে চাই।

আরেক শিশু সুমন জানায়, “বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখন থেকে নিয়মিত পড়ব। তারেক রহমানকে ধন্যবাদ, তিনি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশের জন্য আরও এমন কাজ করবেন।”

শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. লিখন ইসলাম বলেন, “কোনো সুবিধাবঞ্চিত শিশু যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে, সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। বাসিত ভাইয়ের প্রচেষ্টা শিশুদের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করবে, যা দেশের জন্যও ইতিবাচক।”

উদ্যোক্তা কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিত বলেন, “দেশনেতা তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আমরা শিক্ষালয়টি শুরু করেছি। যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পথশিশুদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্যই আমাদের উদ্যোগ। ভবিষ্যতে যদি এখান থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পাই, স্থায়ী অবকাঠামোর কথাও ভাবব।”