ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৬০ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান। দেশটিতে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভোরে এ কম্পন অনুভূত হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়। পাকিস্তানের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার গভীরে। সাধারণত অগভীর ভূমিকম্প বেশি ভয়াবহ হলেও গভীর উৎসের কম্পনও বৃহৎ এলাকায় ছড়িয়ে অনুভূত হতে পারে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উত্তর ভারত এমন অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ সবচেয়ে তীব্র। তাই এ অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন সক্রিয় ফল্ট লাইন থাকায় দেশটি বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিশেষত বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি), গিলগিট–বালতিস্তান—এই অঞ্চলগুলো ইউরেশীয় প্লেটের দক্ষিণ সীমান্তে হওয়ায় মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প নিয়মিতভাবে ঘটে। একইভাবে সিন্ধু ও পাঞ্জাবও ভারতীয় প্লেটের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে থাকায় ভূমিকম্প ঝুঁকি বহন করে। এর মধ্যে বেলুচিস্তান অঞ্চলের কাছে আরবিয়ান ও ইউরেশীয় প্লেটের সক্রিয় সংযোগস্থল হওয়ায় সেখানে তীব্র ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।

তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর না মিললেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

পাকিস্তানে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প

আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান। দেশটিতে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভোরে এ কম্পন অনুভূত হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়। পাকিস্তানের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার গভীরে। সাধারণত অগভীর ভূমিকম্প বেশি ভয়াবহ হলেও গভীর উৎসের কম্পনও বৃহৎ এলাকায় ছড়িয়ে অনুভূত হতে পারে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উত্তর ভারত এমন অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ সবচেয়ে তীব্র। তাই এ অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন সক্রিয় ফল্ট লাইন থাকায় দেশটি বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিশেষত বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি), গিলগিট–বালতিস্তান—এই অঞ্চলগুলো ইউরেশীয় প্লেটের দক্ষিণ সীমান্তে হওয়ায় মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প নিয়মিতভাবে ঘটে। একইভাবে সিন্ধু ও পাঞ্জাবও ভারতীয় প্লেটের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে থাকায় ভূমিকম্প ঝুঁকি বহন করে। এর মধ্যে বেলুচিস্তান অঞ্চলের কাছে আরবিয়ান ও ইউরেশীয় প্লেটের সক্রিয় সংযোগস্থল হওয়ায় সেখানে তীব্র ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।

তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর না মিললেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানানো হয়েছে।