ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প–মামদানি প্রথম বৈঠক: মতভিন্নতা ছাপিয়ে নিউইয়র্কের স্বার্থে সহযোগিতার অঙ্গীকার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

হোয়াইট হাউসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। দীর্ঘদিনের তীব্র বিরোধ ও পারস্পরিক সমালোচনার ইতিহাস থাকলেও বৈঠক শেষে দুজনই জানিয়েছেন—নিউইয়র্কের স্বার্থে তারা গঠনমূলকভাবে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের দারুণ এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা দু’জনেই চাই নিউইয়র্ক ভালো থাকুক।” তিনি মামদানির নির্বাচনী বিজয়ের প্রশংসা করেন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর প্রশ্নে তার অবস্থানকে “উল্লেখযোগ্য” বলে মন্তব্য করেন। অতীতে ট্রাম্প মামদানিকে ‘জিহাদিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি পর্যন্ত দিলেও এবার তাকে “অসাধারণভাবে জয়ী” বলে স্বীকৃতি দেন।

মেয়র–নির্বাচিত মামদানি বলেন, “বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের আলোচনা মূলত নিউইয়র্ককে কেন্দ্র করেই।” তিনি জানান, ভাড়া, জ্বালানি বিল ও বাজার–সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষই কথা বলেছেন।

ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট এই নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের মতপার্থক্য বহু পুরোনো। তবুও মামদানি জানান, “মতভিন্নতা থাকলেও যৌথ লক্ষ্য পূরণে আমরা কাজ করতে চাই।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ বন্ধ করা ও জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর মতো বিষয়ে দুই পক্ষই অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেষ বলের ভুলে ম্যাচ সুপার ওভারে গেলেও নায়ক আকবর—ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প–মামদানি প্রথম বৈঠক: মতভিন্নতা ছাপিয়ে নিউইয়র্কের স্বার্থে সহযোগিতার অঙ্গীকার

আপডেট সময় ১০:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

হোয়াইট হাউসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। দীর্ঘদিনের তীব্র বিরোধ ও পারস্পরিক সমালোচনার ইতিহাস থাকলেও বৈঠক শেষে দুজনই জানিয়েছেন—নিউইয়র্কের স্বার্থে তারা গঠনমূলকভাবে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের দারুণ এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা দু’জনেই চাই নিউইয়র্ক ভালো থাকুক।” তিনি মামদানির নির্বাচনী বিজয়ের প্রশংসা করেন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর প্রশ্নে তার অবস্থানকে “উল্লেখযোগ্য” বলে মন্তব্য করেন। অতীতে ট্রাম্প মামদানিকে ‘জিহাদিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি পর্যন্ত দিলেও এবার তাকে “অসাধারণভাবে জয়ী” বলে স্বীকৃতি দেন।

মেয়র–নির্বাচিত মামদানি বলেন, “বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের আলোচনা মূলত নিউইয়র্ককে কেন্দ্র করেই।” তিনি জানান, ভাড়া, জ্বালানি বিল ও বাজার–সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষই কথা বলেছেন।

ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট এই নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের মতপার্থক্য বহু পুরোনো। তবুও মামদানি জানান, “মতভিন্নতা থাকলেও যৌথ লক্ষ্য পূরণে আমরা কাজ করতে চাই।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ বন্ধ করা ও জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর মতো বিষয়ে দুই পক্ষই অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।