রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাত্র ৩১ ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ভূমিকম্পগুলো সংঘটিত হয়। সবশেষ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় দুটি পরপর ভূমিকম্প হয়। প্রথমটি সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৭। এর এক সেকেন্ড পর আরও একটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৩। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বাড্ডায় এবং দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে।
এর আগে শনিবার সকালেও নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা, যার ফলে শিশুসহ ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন।
কোরআন-হাদিসের আলোকে ভূমিকম্প আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত। যুগে যুগে আল্লাহ বিভিন্ন জাতিকে সতর্ক করেছেন। পাপাচার, অবাধ্যতা, অন্যায় ও সম্পদ লুটপাটের কারণে তিনি কখনও কঠিন শাস্তি দিয়েছেন। শোয়াইব (আ.), লুত (আ.) এবং সালেহ (আ.)-এর জাতি এমন সতর্কবার্তায় ভূমিকম্পের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)ও তার উম্মতদের ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
ভূমিকম্পে কোনো ব্যক্তি বা পরিবার দুর্ঘটনার শিকার হলে তাকে শুধু পাপিষ্ঠ মনে করা যাবে না। মহানবী (সা.) বলেছেন, ভূমিকম্প বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে। এটি মুসলিমদের জন্য সতর্কবার্তা যে সমাজে ছড়িয়ে পড়া পাপাচার থেকে বিরত থাকা এবং নিজের ও অন্যদের জন্য সচেতন থাকা জরুরি।


























