ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজার কারসাজি মামলায় সাকিব–তার মাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন ফের পেছালো

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ারবাজারে কারসাজি, প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, তার মা শিরিন আক্তারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) ছিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ নতুন তারিখ হিসেবে আগামী ৩ মার্চ নির্ধারণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।

মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে আছেন—সমবায় অধিদফতরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।
গত ১৭ মে দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের বিও একাউন্ট ব্যবহার করে অবৈধ সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক অ্যাকটিভ ট্রেডিং, গেম্বলিং ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিপুল অর্থ হারান। পুরো প্রক্রিয়ায় ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা ‘অপরাধলব্ধ অর্থ’ হিসেবে চিহ্নিত।

আসামি আবুল খায়ের হিরু তার স্ত্রী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার উৎস গোপন করে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করেন। তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আবুল খায়ের হিরুর কারসাজি করা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী পেপারসের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন সাকিব আল হাসান। এতে তিনি মার্কেট ম্যানুপুলেশনে সহায়তা করেন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মধ্য দিয়ে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি লাভ অর্জন করেন, যা আত্মসাৎ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেয়ারবাজার কারসাজি মামলায় সাকিব–তার মাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন ফের পেছালো

আপডেট সময় ০৫:০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজারে কারসাজি, প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, তার মা শিরিন আক্তারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) ছিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ নতুন তারিখ হিসেবে আগামী ৩ মার্চ নির্ধারণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।

মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে আছেন—সমবায় অধিদফতরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।
গত ১৭ মে দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের বিও একাউন্ট ব্যবহার করে অবৈধ সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক অ্যাকটিভ ট্রেডিং, গেম্বলিং ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিপুল অর্থ হারান। পুরো প্রক্রিয়ায় ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা ‘অপরাধলব্ধ অর্থ’ হিসেবে চিহ্নিত।

আসামি আবুল খায়ের হিরু তার স্ত্রী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার উৎস গোপন করে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করেন। তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আবুল খায়ের হিরুর কারসাজি করা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী পেপারসের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন সাকিব আল হাসান। এতে তিনি মার্কেট ম্যানুপুলেশনে সহায়তা করেন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মধ্য দিয়ে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি লাভ অর্জন করেন, যা আত্মসাৎ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।