পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কারাবন্দি নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র রহস্য। ইমরান খানের তিন বোন বারবার তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সরকার অনুমতি দেয়নি। আদিয়ালা কারাগারের বাইরে তাদের ওপর পাঞ্জাব পুলিশের হামলার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হচ্ছে—ইমরান খান নাকি কারা হেফাজতে মারা গেছেন। এসব গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে; হাজারো নেতাকর্মী আদিয়ালা কারাগারের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।
২০২৩ সাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান খান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তার সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বর্তমান শেহবাজ শরিফ সরকার। ইমরানের তিন বোন—নরীন খান, আলিমা খান ও উজমা খান—অভিযোগ করেন, টানা তিন সপ্তাহ ধরে তাদের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কারাগারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলে পুলিশের হামলার শিকার হন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি তুলতেই তাদের ওপর ‘নৃশংস’ভাবে চড়াও হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনোয়ারকে পাঠানো এক চিঠিতে ইমরানের বোনরা লিখেছেন—স্ট্রিটলাইট নিভিয়ে তাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। নরীন খান জানান, ৭১ বছর বয়সী তাকে চুল ধরে টেনে রাস্তার ওপর ফেলে মারধর করা হয়, অন্য নারীরাও একই নির্যাতনের শিকার হন।
পিটিআইয়ের দাবি—ইমরান খানকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে একক কক্ষে আটক রাখা হয়েছে। তার বই, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের অধিকারও সীমিত করা হয়েছে। আইনজীবী খালিদ ইউসুফ চৌধুরী বলেন, “এখন এখানে জঙ্গলের শাসন চলছে।”
অন্যদিকে, কারা কর্তৃপক্ষ ইমরান খানের মৃত্যুর গুজবকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) আদিয়ালা জেল প্রশাসন জানায়, ইমরান খান সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি


























