কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর পরিবার ও দলের নেতাদের সাক্ষাতের অনুমতি না দিলে দেশজুড়ে বৃহত্তর বিক্ষোভ ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের বিরোধী জোট। সরকার ‘ভুল পথে’ চলা বন্ধ না করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে বলে সতর্ক করেছেন তারা। শুক্রবার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পাখতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামি পার্টির (পিকেএমএপি) সভাপতি মাহমুদ আচাকজাই।
আচাকজাই বলেন, “আমরা সিন্ধি, বেলুচ, পশতুন, পাঞ্জাবিদের রাস্তায় নামা ঠেকিয়ে রেখেছি। তা না হলে তারা আন্দোলনে নেমে পরিস্থিতি জটিল করে তুলত।” তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সংসদকে ‘রাবার স্ট্যাম্পে’ পরিণত করেছে এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক বাইরের নির্দেশে কাজ করছেন। উপজাতীয় এলাকায় মানুষ নিহত হলেও সে বিষয়ে কথা বলতে বিরোধীদের সুযোগ দিচ্ছেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
ইমরান খানকে কারাগারে আটকে রাখা এবং তাঁর বোন ও দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ারও তীব্র সমালোচনা করেন আচাকজাই। তিনি জানান, “খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আদিয়ালা কারাগারের বাইরে বসে আছেন, কিন্তু ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার আবেদনে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না।”
পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) নেতা আসাদ কায়সার অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে গণতন্ত্রকে ‘সমাধিস্থ’ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, হারিপুর উপনির্বাচনে ফলাফলে কারচুপি করে ফর্ম–৪৭ পরিবর্তন করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থী ছিলেন সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ওমর আইয়ুবের স্ত্রী।
এদিকে ব্যারিস্টার গওহর বলেন, বিরোধী দল হিসেবে তারা পার্লামেন্টের অংশ হয়ে থাকতে চান। তবে নির্বাচনী ‘কারচুপি’ তাদের অবস্থানকে কঠিন করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, “আমি যতটা ইমরান খানকে চিনি, তিনি আর এই পার্লামেন্টের অংশ হয়ে থাকতে আমাদের অনুমতি দেবেন না।”


























