ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতার গুদামে মিলল অবৈধ মজুতের ১৪৯ বস্তা সার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁর পত্নীতলায় সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর গুদামে মজুত করা ১৪৯ বস্তা রাসায়নিক (ডিএপি) সার জব্দ করেছে কৃষি অফিস। বুধবার উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নে পাটলের গোয়েন্দাপাড়ার ‘সৈনিক ট্রেডার্স’ থেকে সারগুলো উদ্ধার করা হয়।

সিরাজুল ইসলাম ওই উপজেলার বাসিন্দা এবং শিহাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি।

সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম একজন কীটনাশক ও খুচরা সার ব্যবসায়ী। আজ বিকেলে অবৈধভাবে ১৪৯ বস্তা ডিএপি সার মজুত করছিলেন। বিপুল সার মজুতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসকে অবগত করা হলে সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে সারগুলো জব্দ করেন।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সিরাজুল বলেন, ‘আমি একজন খুচরা সার ব্যবসায়ী। আমার সারের দোকানে এমওপি ও ইউরিয়া সার পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তবে ডিএপি সার নেই।

‘আর এখানে যেসব সার ডিলার আছেন, তাঁদের কাছে সার পাওয়া যায় না। নওগাঁর নয়ন শীল নামে একজন সার ডিলারের মাধ্যমে কোম্পানিতে টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডিএপি সারগুলো আমার গুদামে আনছিলাম। পরে কৃষি অফিস সারগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ১৪৯ বস্তা সার উদ্ধার করে উপজেলার একটি গুদামে রাখা হয়েছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলীমুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আজ সারা দিন আমি ও কৃষি অফিসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সারের পয়েন্টগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছিলাম।

‘দুপুরে হঠাৎ জানা যায়, সেখানে একটি ট্রাক থেকে সারগুলো নামানো হচ্ছিল। পরে কৃষি অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে সারগুলো জব্দ করে নিয়ে আসে। তবে কোথা থেকে সারগুলো আসছে, তা জানা গেলে নিষ্পত্তি করা সহজ হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি টাকা

বিএনপি নেতার গুদামে মিলল অবৈধ মজুতের ১৪৯ বস্তা সার

আপডেট সময় ১২:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নওগাঁর পত্নীতলায় সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর গুদামে মজুত করা ১৪৯ বস্তা রাসায়নিক (ডিএপি) সার জব্দ করেছে কৃষি অফিস। বুধবার উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নে পাটলের গোয়েন্দাপাড়ার ‘সৈনিক ট্রেডার্স’ থেকে সারগুলো উদ্ধার করা হয়।

সিরাজুল ইসলাম ওই উপজেলার বাসিন্দা এবং শিহাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি।

সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম একজন কীটনাশক ও খুচরা সার ব্যবসায়ী। আজ বিকেলে অবৈধভাবে ১৪৯ বস্তা ডিএপি সার মজুত করছিলেন। বিপুল সার মজুতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসকে অবগত করা হলে সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে সারগুলো জব্দ করেন।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সিরাজুল বলেন, ‘আমি একজন খুচরা সার ব্যবসায়ী। আমার সারের দোকানে এমওপি ও ইউরিয়া সার পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তবে ডিএপি সার নেই।

‘আর এখানে যেসব সার ডিলার আছেন, তাঁদের কাছে সার পাওয়া যায় না। নওগাঁর নয়ন শীল নামে একজন সার ডিলারের মাধ্যমে কোম্পানিতে টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডিএপি সারগুলো আমার গুদামে আনছিলাম। পরে কৃষি অফিস সারগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ১৪৯ বস্তা সার উদ্ধার করে উপজেলার একটি গুদামে রাখা হয়েছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলীমুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আজ সারা দিন আমি ও কৃষি অফিসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সারের পয়েন্টগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছিলাম।

‘দুপুরে হঠাৎ জানা যায়, সেখানে একটি ট্রাক থেকে সারগুলো নামানো হচ্ছিল। পরে কৃষি অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে সারগুলো জব্দ করে নিয়ে আসে। তবে কোথা থেকে সারগুলো আসছে, তা জানা গেলে নিষ্পত্তি করা সহজ হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’