জীবনে প্রতিটি মানুষকে কোনো না কোনো সময় অভাব, সংকট ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই মনে করেন, অভাব দূর করতে মানুষের দ্বারস্থ হওয়াই সমাধান। কিন্তু নবিজী (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন—সত্যিকারের সমাধান আসে কেবল আল্লাহর কাছে মন খুলে দোয়া করার মাধ্যমে। মানুষের সাহায্য সীমিত, তবে আল্লাহর দয়া অসীম ও অশেষ।
হাদিসে এসেছে—
হজরত ইবনু মাসঊদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
مَنْ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَأَنْزَلَهَا بِالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ. وَمَنْ أَنْزَلَهَا بِاللَّهِ أَوْشَكَ اللَّهُ لَهُ بِالْغِنَى إِمَّا بِمَوْتٍ عَاجِلٍ أَوْ غِنًى آجِلٍ
‘যে ব্যক্তি কঠিন অভাবে পড়ে মানুষের সামনে নিজের দরকার প্রকাশ করে, তার অভাব দূর হয় না। কিন্তু যে ব্যক্তি তার অভাবের কথা শুধু আল্লাহর কাছে বলে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান—হয় তাকে দ্রুত মৃত্যু দিয়ে অভাবমুক্ত করেন, অথবা কিছু সময়ের মধ্যেই সমৃদ্ধি দান করেন।’
— (আবু দাউদ ১৬৪৫, তিরমিজি ২৩২৬, মুসতাদরাকে হাকেম ১৪৮২, বায়হাকি ৭৮৬৯, শারহুস সুন্নাহ ৪১০৯, মিশকাত ১৮৫২)
অভাবের সময় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও তাওয়াক্কুলই প্রকৃত সমাধান। ধৈর্য, দোয়া ও ভরসা মানুষকে অভাবের অন্ধকার থেকে মুক্তির আলোয় পৌঁছে দেয়। মানুষের কাছে বারবার হাত পাতার চেয়ে আল্লাহর দরবারে বিনম্রভাবে মন খুলে প্রার্থনা করাই শ্রেষ্ঠ পথ।
জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্তে হৃদয়কে আল্লাহর দিকে স্থির রাখা—এটাই মুক্তি, এটাই সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ উপায়। নবিজীর শিক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—অভাব দূরকারী এবং রিযিকদাতা শুধু তিনিই। তিনি চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কিংবা কিছু সময় পরে—যেকোনোভাবেই সমাধান করে দেন।


























