ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলোচনা ভেঙে আবারও পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাতে; সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:০৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানি সেনারা কান্দাহারের স্পিন বোলদাক জেলায় হামলা চালিয়েছে। বিপরীতে পাকিস্তান দাবি করেছে, চামান সীমান্তে আফগান বাহিনী বিনা উসকানিতে হামলা শুরু করে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোশাররফ জাইদির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সীমান্তবর্তী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাকিস্তান পুরোপুরি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে গত অক্টোবরে একই সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। ওই ঘটনা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিলে তুরস্ক ও কাতার মধ্যস্থতায় আলোচনার টেবিলে বসায় দুই দেশকে। কয়েক দফা আলোচনার পরও স্থায়ী সমাধান না আসায় আবারও সীমান্তে উত্তেজনা চরমে।

পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে—আফগানিস্তানের ভেতরে অবস্থানরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তালেবান প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অপরদিকে আফগানিস্তানের দাবি, পাকিস্তান বারবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে এবং চাপ সৃষ্টি করছে অযৌক্তিকভাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে আগেই সতর্ক করেছিলেন সাবেক ‘র‍্যাব সদস্য’

আলোচনা ভেঙে আবারও পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাতে; সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি

আপডেট সময় ১২:০৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানি সেনারা কান্দাহারের স্পিন বোলদাক জেলায় হামলা চালিয়েছে। বিপরীতে পাকিস্তান দাবি করেছে, চামান সীমান্তে আফগান বাহিনী বিনা উসকানিতে হামলা শুরু করে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোশাররফ জাইদির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সীমান্তবর্তী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাকিস্তান পুরোপুরি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে গত অক্টোবরে একই সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। ওই ঘটনা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিলে তুরস্ক ও কাতার মধ্যস্থতায় আলোচনার টেবিলে বসায় দুই দেশকে। কয়েক দফা আলোচনার পরও স্থায়ী সমাধান না আসায় আবারও সীমান্তে উত্তেজনা চরমে।

পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে—আফগানিস্তানের ভেতরে অবস্থানরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তালেবান প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অপরদিকে আফগানিস্তানের দাবি, পাকিস্তান বারবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে এবং চাপ সৃষ্টি করছে অযৌক্তিকভাবে।