ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওরা নির্বাচনকে পেছানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে : চরমোনাই পীর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যারা আগে পাগল হয়ে যাচ্ছিল, এখন তারা উল্টো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। রাশি যখন বামে ঘোরে, তখন সব পরিকল্পনাই বামে চলে যায়। আপনারা যত শয়তানি পরিকল্পনা করবেন, ততই বাংলাদেশের জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সর্বশেষ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, আমরা যারা দেশপ্রেমিক, মানবতাপ্রেমিক, আমরা যদি ভুল করি বা ব্যর্থ হই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন ইতিহাস লিখবে, তখন আমাদের জন্য কলঙ্কজনক ইতিহাসই লিপিবদ্ধ হবে। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে- বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পাঁচ দফা দাবির পক্ষে রয়েছে। আমরা এই দাবিগুলো নিয়ে রাস্তায় নেমেছি কেন? এর মূল উদ্দেশ্য হলো- ৫ই আগস্ট চব্বিশে দেশের হাজার হাজার মায়ের কোলে সন্তানহারা হওয়ার ঘটনা। অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে, কেউ পঙ্গু হয়েছে। জনপ্রিয় নেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়ে আর ফেরত আসেননি, আর কোনোদিন আসবেন বলেও মনে হয় না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- ৫৩ বছর ধরে যারা আমাদের জিম্মি করে রেখেছিল, তাদের প্রকৃত চরিত্রও আমরা এখন দেখছি। তারা নিজেদের কাছেও নিরাপদ নয়, আজ তারা নিজেদেরই ধ্বংস করছে।

তিনি বলেন, আমার কষ্ট হয়- এত গুম হলো, লক্ষ লক্ষ দলীয় নেতাকর্মীর জীবন বিপন্ন হলো, কত মানুষ জেলে গেল। আমাদের দাবি ছিল- জুলাই ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর দেশকে সুন্দর করতে সংস্কার হবে, খুনী-গুমকারী টাকা পাচারকারীদের দৃশ্যমান বিচার হবে, তারপর লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা দেখে হতবাক- সংস্কারে বাধা, দৃশ্যমান বিচারে বাধা। যারা নির্বাচনের জন্য আগে পাগল ছিল, আজ যখন দেখল জনগণ জালেম-চাঁদাবাজদের পক্ষে নয়, তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে- তখন তারা পাগলের মতো আবার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি- নির্বাচন পেছানো যাবে না।

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিডিপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদি ইস্যুতে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সভায় বিএনপি ছিল না কেনো

ওরা নির্বাচনকে পেছানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে : চরমোনাই পীর

আপডেট সময় ০৮:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যারা আগে পাগল হয়ে যাচ্ছিল, এখন তারা উল্টো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। রাশি যখন বামে ঘোরে, তখন সব পরিকল্পনাই বামে চলে যায়। আপনারা যত শয়তানি পরিকল্পনা করবেন, ততই বাংলাদেশের জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সর্বশেষ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, আমরা যারা দেশপ্রেমিক, মানবতাপ্রেমিক, আমরা যদি ভুল করি বা ব্যর্থ হই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন ইতিহাস লিখবে, তখন আমাদের জন্য কলঙ্কজনক ইতিহাসই লিপিবদ্ধ হবে। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে- বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পাঁচ দফা দাবির পক্ষে রয়েছে। আমরা এই দাবিগুলো নিয়ে রাস্তায় নেমেছি কেন? এর মূল উদ্দেশ্য হলো- ৫ই আগস্ট চব্বিশে দেশের হাজার হাজার মায়ের কোলে সন্তানহারা হওয়ার ঘটনা। অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে, কেউ পঙ্গু হয়েছে। জনপ্রিয় নেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়ে আর ফেরত আসেননি, আর কোনোদিন আসবেন বলেও মনে হয় না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- ৫৩ বছর ধরে যারা আমাদের জিম্মি করে রেখেছিল, তাদের প্রকৃত চরিত্রও আমরা এখন দেখছি। তারা নিজেদের কাছেও নিরাপদ নয়, আজ তারা নিজেদেরই ধ্বংস করছে।

তিনি বলেন, আমার কষ্ট হয়- এত গুম হলো, লক্ষ লক্ষ দলীয় নেতাকর্মীর জীবন বিপন্ন হলো, কত মানুষ জেলে গেল। আমাদের দাবি ছিল- জুলাই ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর দেশকে সুন্দর করতে সংস্কার হবে, খুনী-গুমকারী টাকা পাচারকারীদের দৃশ্যমান বিচার হবে, তারপর লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা দেখে হতবাক- সংস্কারে বাধা, দৃশ্যমান বিচারে বাধা। যারা নির্বাচনের জন্য আগে পাগল ছিল, আজ যখন দেখল জনগণ জালেম-চাঁদাবাজদের পক্ষে নয়, তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে- তখন তারা পাগলের মতো আবার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি- নির্বাচন পেছানো যাবে না।

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিডিপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন প্রমুখ।