উখিয়া–টেকনাফে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে যুবসমাজ জেগে উঠেছে—এমন দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, “যুবকেরা সক্রিয় থাকলে কেউ ভোট ছিনতাই বা কেন্দ্র দখল করতে পারবে না। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত উখিয়া–টেকনাফ গড়তে অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারির বিকল্প নেই।”
মুহাম্মদ শাহজাহান আরও উল্লেখ করেন, “স্বাধীনতার জন্য পূর্ব প্রজন্ম স্বৈরাচার মনসদ ভেঙেছিল; তেমনভাবে আজকের যুবকদের দায়িত্ব হলো উখিয়া-টেকনাফের চাঁদাবাজ ও অপশক্তিকে পরাজিত করা। ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল বা হিংসার দিন শেষ।” সমাবেশে উপস্থিত হাজারো তরুণ মুহূর্তেই স্লোগানে ফেটে পড়েন।
তিনি বলেন, “টেকনাফের সীমান্ত বাণিজ্য কেবল অর্থনীতিকে এগিয়ে নেবে না, সামাজিক স্থিতি, কর্মসংস্থান ও সামগ্রিক উন্নয়নেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে। ভোটের মাঠে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়তে হবে। যদি জামায়াতের পোস্টার কেউ ছিঁড়ে ফেলে, বিএনপি তা পুনঃস্থাপন করবে; ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে গেলে জামায়াত তা ঠিক করবে—এভাবেই উখিয়া–টেকনাফে নতুন রাজনীতি শুরু হবে।”
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর আপন ছোট ভাই উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম শাহজালাল চৌধুরী ঘোষণা দেন, “আগামী নির্বাচনে উখিয়া–টেকনাফের সাংসদ হবেন মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি।” এরপর তিনি আনোয়ারিকে সামনে এনে জনতার হাতের তুলে দেন। মুহূর্তটি সমাবেশস্থলে আবেগঘন মুহূর্ত সৃষ্টি করে।
উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন রনি, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
সচেতন মহলের মতে, সমাবেশে উৎসাহ–উচ্ছ্বাসে ভরপুর তরুণদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে—উখিয়া–টেকনাফে পরিবর্তনের আগ্রহ কতটা গভীর।




















