গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ এখন অত্যন্ত সংবেদনশীল এক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি। দোহা ফোরামে শনিবার তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি বলা যাবে না; এটি কেবল একটি ‘বিরতি মাত্র’। ইসরায়েলি সেনারা পুরোপুরি গাজা ছাড়লে, স্থিতিশীলতা ফিরলে এবং মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারলে সেটিকেই প্রকৃত যুদ্ধবিরতি বলা যাবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধের পর কাতারসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও সহিংসতা পুরোপুরি থামেনি। শনিবারও গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধ থামানোর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা চলছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল কায়রোতে গিয়ে শেষ জিম্মির মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। হামাস এ পর্যন্ত দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ২০ জীবিত জিম্মি এবং ২৭টি মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, শেষ জিম্মির মরদেহ ফেরত পেলেই রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত রূপরেখায় গাজায় একটি অন্তর্বর্তী টেকনোক্র্যাট সরকার ও আন্তর্জাতিক শান্তি পর্ষদের তত্ত্বাবধানের কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে বড় ধরনের জটিলতা রয়ে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল দাবি করছে, তারা হামাসের লক্ষ্যেই হামলা চালাচ্ছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, শনিবার উত্তর গাজায় হামলায় নিহতদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক নারীও ছিলেন। এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ‘ইয়োলো লাইন’ অতিক্রমের সময় পৃথক দুই ঘটনায় তিনজন ফিলিস্তিনি জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে ড্রোন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।

























