পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও সংস্কৃতি ইসলামের ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। বিশেষ করে খানজাহান আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহির স্মৃতি বিজরিত বাগেরহাটের মোংলার মানুষ ইসলামের ঘাটি। সেই ঘাটিতে আগামী নির্বাচনে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে।
আজ ১০ ডিসেম্বর, বুধবার বিকালে বাগেরহাটের মোংলার শাপলা চত্তরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশকে যারা বারংবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছে, দেশের টাকা চুরি করে যারা বিদেশে পাচার করে তাদেরকে আর ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিয়েন না।
বরং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন, ইনশাআল্লাহ আপনাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মিত হবে।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন,এক ফ্যাসিবাদ দুর হয়েছে, আরেকদল চাঁদাবাজ প্রস্তুতি নিচ্ছে। চাঁদাবাজদের সেই সুযোগ দেয়া হবে না। আগামীর সংসদ হবে ইসলামের সংসদ, আলেম-উলামাদের সংসদ। সেই সংসদ নির্মাণে সকলকে মাঠে নেমে পড়তে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, বাগেরহাট জেলা আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুজ্জামানসহ জেলা ও মোংলা থানার নেতৃবৃন্দ।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সংগঠন সদস্যপ্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ জিল্লুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, বিগত ১৩ টি নির্বাচনে বহুজন মোংলা রামপালের এমপি হয়েছে কিন্তু মোংলা-রামপাল যেই তিমিরে ছিলো সেই তিমিরেই থেকে গেছে। আমি পীর সাহেব চরমোনাইকে সামনে রেখে আপনাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমি নির্বাচিত
হলে মোংলায় সুপেয় পানিসহ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করবো, ঘের দখলসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে দমন করবো এবং মোংলাকে একটি আধুনিক ও ব্যস্ত বন্দরে পরিনত করবো ইনশাআল্লাহ।
মোংলা থানা আন্দোলনের সভাপতি জনাব রেজাউল করীম মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মোংলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীগণ অংশ নেন।






















