ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাপে কামড়েও দমে যাননি কৃষক, জ্যান্ত সাপ হাতে হাসপাতালে চাঞ্চল্য

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

 

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সাপে কামড়ানোর পরও সাহস হারাননি কৃষক কুদ্দুস আলী শেখ (৬৫)। বরং তিনি সাপটিকে জ্যান্ত অবস্থায় ধরে একটি কৌটায় ভরে নিয়ে ছুটে যান হাসপাতালে—যা দেখে হাসপাতালের কর্মী থেকে শুরু করে রোগীরা সবাই হতবাক!

ঘটনা ঘটেছে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দৌলতপুরের চিলমারী চরে। মাঠে কাজ করার সময় হঠাৎ সাপটি তাকে ছোবল দেয়। ছোবলের পর তিনি লাঠি দিয়ে আঘাত করে সাপটিকে ধরে ফেলেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে সাপটি দেখে চিকিৎসকরাও সতর্ক হয়ে ওঠেন। পরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত করেন—কামড় দেওয়া সাপটি বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’, স্থানীয়ভাবে যাকে চন্দ্রবোড়া বলা হয়।

চিকিৎসক ডা. ইকবাল হোসেন জানান, “হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তবে কামড়ের স্থানে ব্যথা এখনও রয়ে গেছে।”

স্থানীয়দের মতে, চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় সাধারণত প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই কুদ্দুস আলীর বেঁচে যাওয়া এবং তার সাহসী পদক্ষেপ—দুটোই এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে—মানুষ অবাক যে কেউ সাপের কামড় খেয়ে আবার সেই সাপকেই হাতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে!

জনপ্রিয় সংবাদ

আসন্ন নির্বাচনে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক ভোট হবে: শামা ওবায়েদ

সাপে কামড়েও দমে যাননি কৃষক, জ্যান্ত সাপ হাতে হাসপাতালে চাঞ্চল্য

আপডেট সময় ১১:০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

 

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সাপে কামড়ানোর পরও সাহস হারাননি কৃষক কুদ্দুস আলী শেখ (৬৫)। বরং তিনি সাপটিকে জ্যান্ত অবস্থায় ধরে একটি কৌটায় ভরে নিয়ে ছুটে যান হাসপাতালে—যা দেখে হাসপাতালের কর্মী থেকে শুরু করে রোগীরা সবাই হতবাক!

ঘটনা ঘটেছে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দৌলতপুরের চিলমারী চরে। মাঠে কাজ করার সময় হঠাৎ সাপটি তাকে ছোবল দেয়। ছোবলের পর তিনি লাঠি দিয়ে আঘাত করে সাপটিকে ধরে ফেলেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে সাপটি দেখে চিকিৎসকরাও সতর্ক হয়ে ওঠেন। পরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত করেন—কামড় দেওয়া সাপটি বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’, স্থানীয়ভাবে যাকে চন্দ্রবোড়া বলা হয়।

চিকিৎসক ডা. ইকবাল হোসেন জানান, “হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তবে কামড়ের স্থানে ব্যথা এখনও রয়ে গেছে।”

স্থানীয়দের মতে, চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় সাধারণত প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই কুদ্দুস আলীর বেঁচে যাওয়া এবং তার সাহসী পদক্ষেপ—দুটোই এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে—মানুষ অবাক যে কেউ সাপের কামড় খেয়ে আবার সেই সাপকেই হাতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে!