ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান। জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মোট ১৮ জন নাবিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়, ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ওমান উপকূলের কাছে আটক করা হয়। হরমোজগান প্রদেশের এক কর্মকর্তার বরাতে সংস্থাটি জানায়, জব্দের সময় জাহাজটির সব নেভিগেশন সিস্টেম বন্ধ ছিল।
ইরানি কর্তৃপক্ষের দাবি, জাহাজটি অবৈধভাবে জ্বালানি পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল। উপসাগরীয় অঞ্চলে জ্বালানি পাচারের অভিযোগে এর আগেও একাধিকবার জাহাজ আটক করেছে ইরান। দেশটিতে জ্বালানির খুচরা মূল্য তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাচার অত্যন্ত লাভজনক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত মাসেও গালফ অঞ্চলের পানিতে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করে ইরান। সে সময় ‘অননুমোদিত পণ্য পরিবহন’-এর অভিযোগ আনা হলেও, ইরানের ওই পদক্ষেপকে কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে—এমন অভিযোগ ওঠে। তবে তেহরান বরাবরের মতোই এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
সর্বশেষ জাহাজ জব্দের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন এর মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করে। ওয়াশিংটনের দাবি অনুযায়ী, ওই জাহাজটির ক্যাপ্টেন ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে তেল পরিবহনে জড়িত ছিলেন। উল্লেখ্য, ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০২২ সালে ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
























