ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোয় হেফাজতের তীব্র নিন্দা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে

ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের প্রতীক দাড়ি-টুপিকে ‘রাজাকারের প্রতীক’ বানিয়ে ঘৃণা চর্চার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষ করে ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের পরিচয় দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানিয়ে পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, যা জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ধরনের ঘৃণাজীবী কর্মকাণ্ড অবিলম্বে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে মুসলমানদের পরিচয় ও ধর্মীয় নাম-নিশানাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ইসলামবিরোধী রাজনীতি করা হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবীদের শান্তি ও সহাবস্থানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুত্ববাদী অপশক্তি ও বাম সেকুলার গোষ্ঠী আবারও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরও বলেন, ‘রাজাকার’ বয়ান ধসে পড়ার কারণেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে। ভারতীয় বয়ানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রত্যাখ্যান করেছে জুলাইয়ের নতুন বিপ্লবী প্রজন্ম। একাত্তরের মহান জনযুদ্ধকে যারা আধিপত্যবাদী শক্তির হাতে তুলে দিয়েছিল, তারা ক্ষমতার স্বার্থে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এর ফলেই আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির শীর্ষ রাজনীতিকরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, একাত্তরের রক্তাক্ত জনযুদ্ধ ও বিজয় একান্তই বাংলাদেশের। ভারতীয় বয়ানে ‘মুক্তিযুদ্ধ’-এর প্রচারকারীরা মূলত ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দালাল। একাত্তরকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন কোনো তথ্য বা সংখ্যার বিষয়ে প্রশ্ন তোলাও নিষিদ্ধ।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একাত্তরের জনযুদ্ধ কারো একার সম্পত্তি নয়। সাতচল্লিশের উত্তরসূরি একাত্তর, আর একাত্তরের উত্তরসূরি চব্বিশ। সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ—এই তিনটি আমাদের আজাদীর ধারাবাহিকতা। কোনোটিকেই অস্বীকার করা যাবে না।

বিজয়ের এই মাসে একাত্তরের জনযুদ্ধ ও বিজয়ের নির্মোহ ও সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বিদগ্ধ ইতিহাসবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে চলমান ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সত্য ইতিহাস চর্চাই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত করার প্রয়োজন নেই

দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোয় হেফাজতের তীব্র নিন্দা

আপডেট সময় ০৭:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের প্রতীক দাড়ি-টুপিকে ‘রাজাকারের প্রতীক’ বানিয়ে ঘৃণা চর্চার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষ করে ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের পরিচয় দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানিয়ে পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, যা জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ধরনের ঘৃণাজীবী কর্মকাণ্ড অবিলম্বে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে মুসলমানদের পরিচয় ও ধর্মীয় নাম-নিশানাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ইসলামবিরোধী রাজনীতি করা হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবীদের শান্তি ও সহাবস্থানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুত্ববাদী অপশক্তি ও বাম সেকুলার গোষ্ঠী আবারও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরও বলেন, ‘রাজাকার’ বয়ান ধসে পড়ার কারণেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে। ভারতীয় বয়ানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রত্যাখ্যান করেছে জুলাইয়ের নতুন বিপ্লবী প্রজন্ম। একাত্তরের মহান জনযুদ্ধকে যারা আধিপত্যবাদী শক্তির হাতে তুলে দিয়েছিল, তারা ক্ষমতার স্বার্থে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এর ফলেই আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির শীর্ষ রাজনীতিকরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, একাত্তরের রক্তাক্ত জনযুদ্ধ ও বিজয় একান্তই বাংলাদেশের। ভারতীয় বয়ানে ‘মুক্তিযুদ্ধ’-এর প্রচারকারীরা মূলত ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দালাল। একাত্তরকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন কোনো তথ্য বা সংখ্যার বিষয়ে প্রশ্ন তোলাও নিষিদ্ধ।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একাত্তরের জনযুদ্ধ কারো একার সম্পত্তি নয়। সাতচল্লিশের উত্তরসূরি একাত্তর, আর একাত্তরের উত্তরসূরি চব্বিশ। সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ—এই তিনটি আমাদের আজাদীর ধারাবাহিকতা। কোনোটিকেই অস্বীকার করা যাবে না।

বিজয়ের এই মাসে একাত্তরের জনযুদ্ধ ও বিজয়ের নির্মোহ ও সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বিদগ্ধ ইতিহাসবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে চলমান ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সত্য ইতিহাস চর্চাই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ।